গাইবান্ধায় শিশু সুরক্ষায় হেল্পলাইন ১০৯৮ নম্বরের ওরিয়েন্টেশন

গাইবান্ধায় চাইল্ড হেল্পলাইন ‘১০৯৮’–এর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক
গাইবান্ধায় চাইল্ড হেল্পলাইন ‘১০৯৮’–এর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক

‘থাকলে শিশু সুরক্ষিত, উন্নয়ন হবে অর্জিত’—স্লোগানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) প্রকল্পের চাইল্ড হেল্পলাইন ‘১০৯৮’–এর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। সিএসপিবি প্রকল্পে সহায়তা করছে ইউনিসেফ।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রসূন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার জেসমিন বি হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাবলিক রিলেশন সমন্বয়কারী মো. আশরাফুল আলম, কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, খোলাহাটি ইউপির চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলী আকবর মিয়া, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের (জিইউকে) প্রতিনিধি প্রতিমা চক্রবর্তী ও শিক্ষার্থী লুবনা খাতুন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন শাহ। অনুষ্ঠানে শাহ সারোয়ার কবীর সরাসরি ‘১০৯৮’ নম্বরে কল দেন। এ সময় কল সেন্টার থেকে বিস্তারিত জানানো হয়। পুরো কথোপকথন মাইক্রোফোনের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে শোনানো হয়।

শিশু সুরক্ষায় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি মোবাইল টিম গঠন করা হয়, যারা দ্রুততার সঙ্গে গাইবান্ধায় কাজ করবে। এই কমিটিতে রয়েছেন সমাজসেবার কর্মকর্তা, থানার শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, চিকিৎসক, ইউপির চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।

শিশু সুরক্ষায় গাইবান্ধায় কাজ করবে চাইল্ড হেল্পলাইন ‘১০৯৮’। ছবি: লেখক
শিশু সুরক্ষায় গাইবান্ধায় কাজ করবে চাইল্ড হেল্পলাইন ‘১০৯৮’। ছবি: লেখক

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, থানার শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, চিকিৎসক, শিক্ষক, ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, এনজিও প্রতিনিধি, শিশু, অভিভাবক, ব্যাংক এশিয়ার প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, ২০১০ সালের নভেম্বরে প্রথমে ঢাকার ৮টি থানার ২০টি ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে ‘১০৯৮’–এর কার্যক্রম চালু হয়। পরে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘১০৯৮’–এর উদ্বোধন করেন। শিশুর সুরক্ষায় ২৪ ঘণ্টাই দেশের যেকোনো প্রান্তের কোনো শিশু কোনো ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন ও শোষণের শিকার হলে শিশু নিজে অথবা অন্য যেকোনো ব্যক্তি বিনা মূল্যে ‘১০৯৮’ হেল্পলাইনে ফোন করে চাইতে পারবেন সহায়তা।

‘১০৯৮’–এর সেবাগুলো হচ্ছে শিশুর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন প্রতিরোধ, শিশু পাচার রোধে জরুরি সহায়তা, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও শিশুবিবাহ রোধে সহায়তা, শিশুদের আইনি সেবা পেতে সহায়তা, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে শিশুকে উদ্ধার, টেলিফোনে তথ্য ও কাউন্সেলিং সেবা, শিশুর সুরক্ষায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে পরামর্শ ও বিদ্যমান যেকোনো সামাজিক সুরক্ষায় সেবা পেতে সহায়তা প্রদান। যেখানেই শিশুরা অধিকার থেকে বঞ্চিত, সেখানেই ‘১০৯৮’ নম্বরে কল দিতে বলা হয় সবাইকে।