সিটিসেলের কর্মীদের মিলনমেলা

সিটিসেলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে মিলনমেলার আয়োজন করেছিলেন সাবেক কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
সিটিসেলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে মিলনমেলার আয়োজন করেছিলেন সাবেক কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও প্রথম মোবাইল অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম (সিটিসেল) বন্ধ হয়েছে প্রায় তিন বছর হতে চলল। এ কোম্পানির ৫০০ কর্মী যখন আবার একসঙ্গে হয়ে সিটিসেলের লোগো লাগানো জ্যাকেট পরে হইহুল্লোড় করে অনুষ্ঠান করেন, তখন সাধারণের মনে প্রশ্ন জাগে, ‘তবে কি সিটিসেল আবার ফিরে এল’, ‘আমরা কি আবার শুনতে পাব তুমি যেখানে আমি সেখানে/ পালাবি কোথায়ের মতো অসাধারণ বিজ্ঞাপনগুলো’, ‘আমরা কি আবার হ্যালো ০১২৩-এর মতো একটি ধামাকা প্যাকেজ পাব’।

না, সিটিসেল আবার ফিরে আসছে না। কোম্পানিটির পুরোনো কর্মীরা সিটিসেলের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আসাদ গেটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড গ্র্যান্ড হলে এক মিলনমেলার আয়োজন করেছিল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগদের পরিচালক ডিরেক্টর রেজাউর রাহমান, গ্রো অ্যান্ড এক্সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুলফিকার হোসাইন, আকাশ ডিটিএইচের সিএফও জিয়া হাসান খান; ফিলিপ মরিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেজাউর রহমান মাহমুদ, বিক্রয় ডট কমের ডিরেক্টর ঈশিতা শারমিন, রবির ইভিপি আহমেদ আরমান সিদ্দিকি, জিপিএইচ ইস্পাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন রাজসহ সিটিসেলের ৫০০ পুরোনো কর্মী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছাবক্তব্য দেন আরমান আহমেদ সিদ্দিকি। এরপরই কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। স্ক্রিনে ছিল পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণার ভিডিও আর সবার মধ্যে ছিল পুরোনো সহকর্মীকে পেয়ে বাঁধভাঙা আনন্দ। মূল মঞ্চের পাশেই ছিল ‘because we care’ সমৃদ্ধ একটি ব্যাকড্রপ, যার সামনে সবাই একে একে ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট করে নিয়ে নেন। গানের মাঝে মাঝে দেওয়া হয় র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কার। রাতের খাবারের পরে ছিল সবার একসঙ্গে হয়ে ছবি তোলা। এরপরই শুরু হয় মনোমুগ্ধকর গান, যা শেষ হয় রাত ১১টায়। আর সবাই ফিরে যাওয়ার সময় নিজেদের সেই কর্মমুখর দিনের সুখ-দুঃখের স্মৃতিগুলো ভাগাভাগি করে নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি