অভিযোগ বাক্সে লেখা দরকার, 'প্লিজ আমাকে খুলুন'

অভিযোগের বাক্সে লেখা দরকার, প্লিজ আমাকে খুলুন। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগের বাক্সে লেখা দরকার, প্লিজ আমাকে খুলুন। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কুড়িগ্রামের একটা স্কুলে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা অভিযোগ বাক্সটা চোখে পড়ল! স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন একটা মহৎ উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি হলাম। মনে মনে ওই স্কুলের শিক্ষকদের ধন্যবাদ দিলাম। জানি না অন্য স্কুলেও এ বাক্স আছে কি না।

ভাবলাম, যাক, এ স্কুলে তো শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করার একটা জায়গা আছে তাহলে। পরক্ষণেই বাক্সটায় ধুলোর আস্তর পড়ে থাকতে দেখে মনে প্রশ্ন জাগল, ‘এই বাক্সের তালা আদৌ খোলা হয় কি? নাকি এমনই ঝুলিয়ে রাখা হয়? ব্যাপারটি অনেকটা মুলো ঝোলানোর মতো কি না!’

স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, বাক্সটা প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে, সপ্তাহে না হোক, মাসে এক দিন যেন খোলা হয়। কোনো কিশোরীকে তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে মা–বাবা জোর করে হয়তো বাল্যবিবাহ দিয়ে দিচ্ছেন। হয়তো সে এ বাক্সে একটা চিরকুটে তার আরজি দিয়ে রেখেছে। সেখানে তার স্বপ্ন ভাঙার আশার কথা হয়তো আছে। না জানি কোনো শিশু-কিশোরী মানুষ নামের কোনো পশুর হাতে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে অথচ লজ্জায় কাউকে মুখে বলতে পারছেন না। সেও একটা চিরকুটে তার আরজি দিয়ে হয়তো রেখেছে। এমন অনেক ঘটনার আরজি হয়তো এ বাক্সে ফেলা আছে। হয়রানির শিকার বা অনেক না–বলা কথা লেখা চিঠি হয়তো আছে।

এমন বাক্স যেন স্কুলে স্কুলে থাকে। আর বাক্সগুলোয় যেন ধুলার আস্তরণ না পড়ে। আর অভিযোগের বাক্সে লেখা দরকার, ‘প্লিজ আমাকে খুলুন!’