কুড়িগ্রামে বাগদেবীর আরাধনায় ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা

তিথি ২ দিন থাকায় এবার ২৯ ও ৩০ তারিখে পূজা হচ্ছে দেবী সরস্বতীর। ছবি: লেখক
তিথি ২ দিন থাকায় এবার ২৯ ও ৩০ তারিখে পূজা হচ্ছে দেবী সরস্বতীর। ছবি: লেখক

প্রতিবছরের মতো জ্ঞানের আলো ছড়াতে এবারও এসেছেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিদ্যা, শিল্পকলা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম হিন্দু উৎসব। শিক্ষার্থীরা এ দিন বিশেষভাবে পূজা করেন দেবী সরস্বতীর।

দেবী সরস্বতীকে কেউ কেউ বীণাপাণি বা বাগদেবী হিসেবেও জানেন। গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি, যা আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।

তিথি ২ দিন থাকায় এবার ২৯ ও ৩০ তারিখে পূজা হচ্ছে দেবী সরস্বতীর। তবে অধিকাংশ মানুষ আজ পূর্ণলগ্নে দেবীর আরাধনা করছেন। কুড়িগ্রামের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অস্থায়ী মণ্ডপ, মন্দির ও বাড়িতে বাড়িতে চলছে দেবী সরস্বতীর পূজা।

দেবী সরস্বতীর হাতে শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা, তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা, শ্বেত বাণীধারিণী, শুভ্রবর্ণা ও শ্বেত অলংকারে ভূষিতা। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় সরস্বতীপূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতীপূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।

দেবী সরস্বতীকে কেউ কেউ বীণাপাণি বা বাগদেবী হিসেবেও জানেন। ছবি: লেখক
দেবী সরস্বতীকে কেউ কেউ বীণাপাণি বা বাগদেবী হিসেবেও জানেন। ছবি: লেখক

এদিন দেবীর কাছে বিদ্যার অর্জনের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। পূজার সময় ভক্তরা প্রিয় দেবীর শ্রীচরণে অঞ্জলি প্রদান করে থাকেন। এ ছাড়া পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ভক্তরাও সে মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে থাকেন এবং দেবীকে স্মরণ করেন।

শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতীপূজা সম্পন্ন করা যায়। সরস্বতীর পূজা সাধারণ পূজার নিয়মেই হয়। তবে এতে কয়েকটি সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে অভ্র-আবির, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, পলাশ ফুল ও যবের শিষ এবং বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল অন্যতম। লোকাচার অনুসারে এদিন ছাত্রছাত্রীরা পূজার আগে কুলবরই খান না। পূজার দিন কিছু লেখা এবং বই পড়াও নিষিদ্ধ। পূজার পর লক্ষ্মী, নারায়ণ, লেখনী-মস্যাধার (দোয়াত-কলম), পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে।