একিউমেন ফেলোশিপ পেলেন ২৩ জন

একিউমেন একাডেমি বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ২৩ জন ফেলো নির্বাচিত করেছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
একিউমেন একাডেমি বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ২৩ জন ফেলো নির্বাচিত করেছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য মোকাবিলায় যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন, তাঁদের নেতৃত্বগুণ বিকাশের বৈশ্বিক কর্মসূচি একিউমেন ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। এই কর্মসূচির আওতায় বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের সুযোগ পান নির্বাচিত ফেলোরা। একিউমেন একাডেমি বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ২৩ জন ফেলো নির্বাচিত করেছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিত্বদের নির্বাচিত করা হয়েছে ফেলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকা, ভারত, কলম্বিয়া, স্পেন ও মালয়েশিয়া থেকে নির্বাচিতদের প্রদান করা হচ্ছে একিউমেন ফেলোশিপ। নানান মাধ্যমে কাজ করছেন এমন ৫০০ জন একিউমেন ফেলোশিপ সম্মাননা পেয়েছেন। একিউমেন ফেলোদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৮০ লাখের বেশি মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।

নির্বাচিত ফেলোরা হলেন ডিজিটাল ইন উইম্যান ম্যানেজিং ডিরেক্টর আছিয়া খালেদা, ওএসএইচই ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আরিফা আলম, আলোকিত হৃদয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন আজওয়া নাঈম, ফানুশ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচলন কর্মকর্তা বিশ্বমিত্র চৌধুরী, আমাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইসরাত করিম, ভূমিজ্য লিমিটেডের সিইও ফারহানা রশিদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জি এম রকিবুল ইসলাম, মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা জে এন তাওহিদা শিরোপা, বাদাবন সংঘের নির্বাহী পরিচালক লিপি রহমান, ইনোভেশন কনসালটিং প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াথ সরোয়ার, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি বাংলাদেশের মো. সেকেন্ডার আলী মিনা, ডিআইজেএলএর চেয়ারপারসন মোহাম্মদ রেজাউল করিম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সিমপ্রিন্টস টেকনোলজি লিমিটেডের মো. আসাদ-উর-রহমান নীল, এসপিআরসির মুক্তশ্রী চাকমা, প্রজেক্ট টিকটালিকের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক নাসরিন সুলতানা, অরণ্য ক্রাফটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশিন খায়ের, বাংলাদেশ অ্যাঞ্জেলস নেটওয়ার্কের সিইও নির্ঝর রহমান, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রাকিব অভি, জিওনের সিইও রুবায়াত খান, ইউএনডিপি সোহরা মেহরোজ, ওয়াইপিএসএর ভাস্কর ভট্টাচার্য ও হার স্টোরি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জারিন মাহমুদ হোসেইন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত করা হয়েছে ফেলোশিপের জন্য। নির্বাচিত ২৩ জনের মধ্যে কয়েকজন আছেন যাঁরা সামাজিক উদ্যোক্তা। নির্বাচিত ফেলো মুক্তশ্রী চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ও কন্যাশিশুদের জীবনকে উন্নত করার জন্য কাজ করছেন। ভাস্কর ভট্টাচার্য প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছেন। নওশিন খায়ের বাংলাদেশের শিল্পপণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছেন। তৌহিদা শিরোপা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করছেন।

তৌহিদা শিরোপা জানান, ‘একিউমেন ফেলোশিপ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যাঁরা ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে একিউমেন ফেলোশিপ কাজ করবে।’

এ বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাঁরা সামাজিক পরিবর্তন তৈরি করছেন তাঁদের ফেলোশিপ দিয়েছে একিউমেন। ২৩০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে ২৩ জন একিউমেন বাংলাদেশি ফেলোকে। ইতিবাচক ভূমিকা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য ফেলোশিপ নির্বাচন করেন বিভিন্ন খাতের ৩৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

একিউমেন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে নতুনভাবে লড়াই করতে চায় একিউমেন। সেই লক্ষ্যেই সততা, যোগ্যতা ও নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের সামাজিক নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখতে একিউমেন ফেলোশিপ।

নির্বাচিত ফেলোরা একিউমেন ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও ফেলো উপদেষ্টাদের প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একিউমেন ফাউন্ডেশন বছরভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে একিউমেন ফেলো নির্বাচিত করে।