কুবিতে সমাবর্তন: সনদে বিভাগ ও হলের বানান ভুল

হলের নাম সঠিকভাবে লেখা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
হলের নাম সঠিকভাবে লেখা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনের পর খুশির রেশ এখনো কাটেনি শিক্ষার্থীদের। কিন্তু মূল সনদে কিছু ভুলের কারণে সেই খুশি অনেকেরই নেই।

কারও বিভাগের নাম, কারও হলের নাম কিংবা কারও নিজের নাম বানান সঠিকভাবে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সমাবর্তন শেষে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মোস্তফা কামালের মূল সনদে ‘Public Administration’-এর স্থলে ‘Pablic Administration’ লেখা হয়েছে। ওই ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর মূল সনদে বিভাগের নাম সঠিকভাবে লেখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের ইংরেজি নামের বানান ‘Nawab Foyzunnesa Chowdhurany Hall’। কিন্তু ওই হলের শিক্ষার্থীদের মূল সনদে এ নামও ঠিকভাবে লেখা হয়নি। যেখানে লেখা হয়েছে ‘Nawab Faizunnissa Chaudhurani Hall’।

আবার শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের ইংরেজি নামের বানান দুটি সনদে দুই ধরনের লেখা হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন’ সিস্টেমস বিভাগের ইংরেজি বানানেও রয়েছে ভুল।

বিভাগটির এক শিক্ষার্থী জানান, তাঁদের বিভাগের নামের বানানে ‘অ্যাকাউন্টিং’ এবং ‘অ্যান্ড’ শব্দ দুটির মধ্যে কোনো জায়গা না রেখে একসঙ্গে লেখা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের নামের বানানে সঠিকভাবে লেখা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের সবার সনদে বিভাগের নাম সঠিকভাবে লেখা হয়নি। এটা সত্যিই দুঃখজনক।’

বিভাগের নাম ভুল। ছবি: সংগৃহীত
বিভাগের নাম ভুল। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে হলের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, ‘মূল সনদে এমন ভুল আমাদের জন্য হতাশার। প্রশাসনকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সনদ বিতরণ উপকমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘মূল সনদে ভুল হওয়ার বিষয়টি মাত্র জানতে পারলাম। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা অনেকবার যাচাই করেছি। সে সময় নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী বলেন, যে যে সনদপত্রে ভুল হয়েছে, সেগুলো কোনো ফি ছাড়াই পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। একসঙ্গে ছয়-সাত হাজার সনদ তৈরি করতে গিয়ে হয়তো এমন ভুলগুলো হয়েছে। প্রয়োজন হলে সবার সনদই পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।