নাটোরের বিলে অতিথি পাখির কলতান

নাটোরের বড়ভিটা বিল ও মল্লিকহাটি বিলে পরিযায়ী পাখি এসেছে। ছবি: লেখক
নাটোরের বড়ভিটা বিল ও মল্লিকহাটি বিলে পরিযায়ী পাখি এসেছে। ছবি: লেখক

পাখির কিচিরমিচির, মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা, খাবারের সন্ধানে যেখানে–সেখানে অবাধ বিচরণ দেখতে সবারই ভালো লাগে। এমনই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে নাটোর শহরতলির বড়ভিটা বিলে।

নাটোরের হরিশপুর ইউনিয়নের বড়ভিটা বিল এখন হয়ে উঠেছে লাখো পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল। এর বিপরীত দিকে মল্লিকহাটি বিলেরও ঠিক একই চিত্র।

বিলের দেশি ছোট ছোট মাছই মূলত পরিযায়ী পাখির প্রধান খাদ্য। ছবি: লেখক
বিলের দেশি ছোট ছোট মাছই মূলত পরিযায়ী পাখির প্রধান খাদ্য। ছবি: লেখক

বিশ্বের শীতপ্রধান নানা দেশ থেকে পাখি এসেছে বড়ভিটা বিলে। এ বিলটিকে গত বছর পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে।

নাটোরে কোনো হাওর-বাঁওড় না থাকলেও আছে বেশ কয়েকটি বড় বিল। হালতি পাখির নামানুসারে নামকরণ করা হালতির বিল ছাড়াও রয়েছে চলনবিল, চিনিডাঙ্গার বিল আর ভাত ঝরার বিলের মতো অনেক বড় বড় বিল। নাটোরের এসব বিলে অতিথি পাখিদের জন্য আবহাওয়া অনুকূল আর পর্যাপ্ত খাবার থাকায় প্রতিবছর লাখো অতিথি পাখির দেখা মিলছে। শীতকালে সোলি, বদর, লালমোন, শামুকখোল, বক, বালিহাঁস, কাইয়ুম ও বাগাড়িসহ নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির ডাকে ওই সব বিলের সর্বত্রই মুখরিত থাকে। বিলের দেশি ছোট ছোট মাছই মূলত এসব পাখির প্রধান খাদ্য।

নাটোরের দুই বিলে প্রতিবছর লাখো অতিথি পাখির দেখা মিলছে। ছবি: লেখক
নাটোরের দুই বিলে প্রতিবছর লাখো অতিথি পাখির দেখা মিলছে। ছবি: লেখক

বর্তমানে বড়ভিটা ও মলিকহাটি বিলের পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কয়েক লাখ হবে বলে স্থানীয় পাখিপ্রেমীদের ধারণা। বিলটি শহরের একদম কাছে হওয়ায় সেখানে প্রতিদিনই সকাল-বিকেল দর্শনার্থীরা যাচ্ছেন পরিযায়ী পাখির কলতান, নীলাকাশে ডানা মেলে উড়ে চলার মতো মোহময় দৃশ্য উপভোগ করতে। আর অনেকেই ক্যামেরাবন্দী করছেন সেই মুহূর্ত।