অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেলেন শারমিন লীনা

অ্যাকশন ফর আর্থ গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শারমিন নাহার। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাকশন ফর আর্থ গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শারমিন নাহার। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত অ্যাকশন ফর আর্থ গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশের শারমিন নাহার লীনা। কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করা যায়, তা নিয়ে উপস্থাপনার জন্য তিনি এ অ্যাওয়ার্ড পান। মেলবোর্নের মাল্টিকালচারাল হাব ড্রিল হলে পাউন্স এডুকেশন ও হেমিস ফেয়ারের উদ্যোগে এ ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে তিন দিনের গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট শেষ হয় ২১ জানুয়ারি। সামিটে বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ তরুণ প্রতিনিধি যোগ দেন।

এবারের গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটের মূল লক্ষ্য হলো যুবকদের নেতৃত্বে নেটওয়ার্কিং বাড়ানো, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। এর আরও উদ্দেশ্য হলো পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতায়ন করা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা। বিভিন্ন দেশের পরিবেশবাদী, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের তত্ত্বাবধানে যুবসমাজ যাতে আসন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, তা সমাধান করা।

শারমিন নাহার কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। যুক্তিযুক্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে শব্দদূষণের সমাধানের পথ বের হয়ে আসে। তাঁর এ সুন্দর উপস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষ এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করে অ্যাওয়ার্ড পান শারমিন নাহার। ছবি: সংগৃহীত
কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করে অ্যাওয়ার্ড পান শারমিন নাহার। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে শারমিন নাহার বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুবকেরা এ সামিটে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বের বর্তমান সমস্যা নিয়ে একেকজন একেকটা বিষয় উপস্থাপন করেন। আমি শব্দদূষণ নিয়ে তাৎক্ষণিক উপস্থাপনা দিই। কারণ, ঢাকায় শব্দদূষণ অতিমাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আমার উপস্থাপনা আগত অতিথিদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করব ঢাকাকে কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করার। সেই ক্ষেত্রে সুন্দর বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

শারমিন নাহারের বাড়ি মাগুরায়। এর আগেও তিনি ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সংবাদপাঠক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।

গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ তরুণ প্রতিনিধি যোগ দেন। ছবি: সংগৃহীত
গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ তরুণ প্রতিনিধি যোগ দেন। ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়া বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাত বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে শারমিন নাহারের। কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান ইমপোর্টার্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যোগাযোগ উপদেষ্টা হিসেবেও। বর্তমানে তিনি সোশ্যাল চেঞ্জ ফর ডেভেলপমেন্ট (এসসিডি) এক্সিকিউটিভ অ্যাডভাইজার। বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল এনটিভির সংবাদপাঠক। সেই সঙ্গে তিনি এসএন বিল্ডার্স গ্রুপ অব কোম্পানির ওভারসিজ কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত।