ইবিতে সম্মিলিত র্যাগডেতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অসমাপ্ত বন্ধুত্বের স্মৃতি
বন্ধু শব্দের মধ্যে মিশে আছে নির্ভরতা, বিশ্বাস আর হার না-মানা ভালোবাসা। বন্ধু আর বন্ধন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বন্ধুত্ব মানেই যেন হৃদয়ের সবটুকু আবেগ নিংড়ে, ভালোবাসা দিয়ে মন খুলে জমানো কথা বলা। বন্ধুর জন্য গেয়ে ওঠা, হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে, দেখা হবে তোমার-আমার সুখ-দুঃখের ভিড়ে।
চারটি বছর একসঙ্গে পথচলা শেষে আনন্দের চেয়ে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ ছিলেন সবাই। দিনটিকে স্মৃতিতে ধরে রাখতে হৈ-হুল্লোড়, গানবাজনা, আবির মাখানো, ফটোসেশনসহ নানা কাজে দিন চলে যায়।
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত র্যাগডে উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩০তম ব্যাচ। বন্ধুত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে প্রথম বর্ষে গড়ে উঠেছিল ৩০তম ব্যাচের নামে আলোড়িত ৩০ নামে বন্ধুত্বের প্ল্যাটফর্ম। আর সেই নামে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে দিনটিকে স্মৃতির আঁকড়ে ধরে রাখতে সম্মিলিত র্যাগডে উদযাপন করা হয়। দিনটিতে ক্যাম্পাস লাইফের গত ৪ বছরের স্মৃতি রোমন্থন করেন শিক্ষার্থীরা। এই স্মৃতির ভাগীদার ছিলাম আমি নিজেও। এর আগে নিজের বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান করার সুযোগ হলেও। একসঙ্গে প্রায় ২৫টি বিভাগের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এত বড় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি কখনো। উৎসবমুখর পরিবেশে এ দিনটি স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে চিরদিন।
দিনটি ছিল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার। সেদিন সকাল ৯টায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর একে একে সারা ক্যাম্পাস ঘুরে আনন্দ শোভাযাত্রা, বটবৃক্ষ চত্বরে কেক কাটা, রং উৎসব পালন করা হয়। তৈরি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশের। র্যাগ ডের প্রথম পর্ব শেষে দুপুরে টিএসসিসির বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শুরু হয় র্যাগ ডের দিনব্যাপী দ্বিতীয় পর্বের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ছিল গানসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে অ্যাশেজ, আভাস, রং রুট, প্রাঙ্গণ, ডাক পিয়নসহ ক্যাম্পাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। গানে গানে, হাসি-কান্নায় সন্ধ্যায় শেষ হয় বন্ধুত্বের অসমাপ্ত দিনের স্মৃতি। প্রয়োজনের খাতিরে আমরা হয়তো বিভিন্ন জন বিভিন্ন জায়গায় চলে যাব। কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো অসমাপ্তই রয়ে যাবে।
*লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়