দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে ভাতাভোগী বাছাই হচ্ছে উন্মুক্ত সভায়
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উন্মুক্ত সভা থেকে প্রকৃত দুস্থ–অসহায়দের বাছাই করে ভাতাভোগীর তালিকা করছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার ১ নম্বর জয়পুর ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত সভার মাধ্যমে প্রকৃত বয়স্ক, বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ভাতা পাওয়ার যোগ্য নারী, পুরুষ ও শিশু বাছাই উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আয়নুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার, অতিথি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, ৯ নম্বর কুশদহ ইউপির চেয়ারম্যান আবু শাহাদত মো. সায়েম, ২ নম্বর বিনোদনগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় ইউপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ইউএনও মোছা. নাজমুন নাহার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী ও ইউপির চেয়ারম্যানের বিশেষ তদারকিতে আগত পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু থেকে ভাতা পাওয়ার যোগ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা ২১১ জনকে ভাতাভোগীর তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর আগে ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অনেকটা গোপনে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাতাভোগী নির্ধারণ করতেন। এতে ভাতাপ্রত্যাশীরা অনেকেই বিভিন্ন কারণে বাদ পড়তেন। অর্থের বিনিময়ে তালিকায় নাম আসার অভিযোগও শোনা যায়। প্রকাশ্যে সভার মাধ্যমে প্রশাসন কর্তৃক এমন ভাতাভোগী বাছাই হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার এ ইউনিয়নে ২১১ জনের মধ্যে বয়স্ক ভাতা ৬৬ জন, বিধবা ভাতা ৬৫ জন ও ৮০ জনের প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এ উপজেলার বাকি আরও ৮ ইউনিয়নের একই প্রক্রিয়ায় ভাতাভোগীর তালিকা করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি ৯ নম্বর কুচঁদহ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ৭ নম্বর দাউদপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর গোলাপগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২ নম্বর বিনোদনগর, ২৫ ফেব্রুয়ারি ৪ নম্বর শালখুরিয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি ৬ নম্বর ভাদুরিয়া, ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮ নম্বর মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত সভার মাধ্যমে ৩ ক্যাটাগরিতে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হবে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী জানান, ইউএনওসহ অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি মাঠে নেমে সবচেয়ে যোগ্য এবং গরিব মানুষটিকে বাছাই করেছেন। এভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলাদেশের কোথাও ভাতা বাছাই কার্যক্রম হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই।