হাসপাতালে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন

হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের গোলাপ ফুল দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের গোলাপ ফুল দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসার কোনো আপেক্ষিক সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসা নিজ শব্দগুণেই চিরন্তন। এ বছর পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়েছে। দিনটি উদ্‌যাপনে পিছিয়ে ছিল না কেউ। তেমনি ভালোবাসা দিবসকে স্বার্থহীন ও নির্মোহ করে তুলতে আজ হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন একদল সন্ধানীয়ান।

সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন সন্ধানী গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সদস্যরা। তাঁদের হাতে ছিল ভালোবাসার লাল গোলাপ আর মুখে হৃদয়ছোঁয়া হাসি। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে ভালোবাসার বার্তা পৌছে দিয়েছেন তাঁরা।

কেন এই ব্যতিক্রমী আয়োজন, জানতে চাইলে সন্ধানী গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহমেদ বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমরা একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চেয়েছিলাম। আধুনিকতায় বন্দী বর্তমান সময়ে আমরা অসুস্থ না হলে হাসপাতাল এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করি। কিন্তু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মানুষগুলোও হয়তো সুস্থ থাকা অবস্থায় আজকের দিনটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিল। আপন মানুষগুলোকে নিয়ে তারাও হয়তো চেয়েছিল ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাল্গুন উদ্‌যাপন করবে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই আমরা কিছুটা হলেও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হাজির হয়েছিলাম অসুস্থ মানুষগুলোর কাছে।’

ভালোবাসা দিবসে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের গোলাপ ফুল দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত
ভালোবাসা দিবসে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের গোলাপ ফুল দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

সন্ধানীয়ানদের পাওয়া ভালোবাসা শুভেচ্ছা সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক জাফর ইমরান জানান, সন্ধানীয়ানরা চলে যাওয়ার পর শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটা শিশুই সারা দিন ওদের দেওয়া গোলাপ নিয়ে আনন্দ করেছে। শিশুদের অভিভাবকেরাও খুব খুশি হয়েছিল। বারবার শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করছিলেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমোদফুর্তি না করে সবাই যদি এমন দিনে দেশের হাসপাতালগুলোতে কিছুটা ভালোবাসা পৌঁছাতে পারত, তাহলে যন্ত্রণায় কাতর রোগীরাও কিছুটা সময় হাসিমুখে থাকত। কারণ, ভালোবাসা নিজেই অনেক বড় একটি ওষুধ।

সন্ধানী গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিটের ডোনার ক্লাব ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সোহানুর রহমান, যুগ্ম ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হুমাইরা মাহমুদ, কার্যকরী সদস্য-১ নৌশিন তাবাসসুম অর্ণব, কার্যকরী সদস্য-৩ মিন্নাতুন বুশরা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের সন্ধানীয়ানরা।

লেখক: উপদেষ্টা, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ, সন্ধানী গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ইউনিট।