প্লিজ, ডোন্ট ফায়ার - পাকিস্তান সেনাদের বলেছিলেন ড. জোহা

শহীদ অধ্যাপক ড. শামসোজ্জোহা
শহীদ অধ্যাপক ড. শামসোজ্জোহা

বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রেক্ষাপটে ১৮ ফেব্রুয়ারি বেশ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশের একজন বুদ্ধিজীবী পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে শহীদ হন। তিনি হলেন ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনি শহীদ হওয়ার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। শামসুজ্জোহা একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ ছিলেন। রাবি শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে তিনি হাত উঁচিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বলেছিলেন, ‘প্লিজ, ডোন্ট ফায়ার! আমার ছাত্ররা এখনই চলে যাবে...!’ ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে শিক্ষকের আত্মাহুতির ঘটনা বিরল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের তৎকালীন রিডার (সহযোগী অধ্যাপক) সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার আরও একটি পরিচয় হলো তিনি ভাষাসৈনিক। অলরাউন্ডার বলে খ্যাতি ছিল তাঁর। জোহা তাঁর হলের নিয়মিত ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এ ছাড়া অ্যাথলেটিক ও অন্যান্য খেলায়ও পারদর্শী ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হকি দলেরও নিয়মিত খেলোয়াড় সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক, যিনি পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে শহীদ হন। তাঁর মৃত্যু ১৯৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থানকে প্রভাবিত করে এবং আইয়ুববিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে। আইয়ুব খান সরকারের পতনের পেছনে তাঁর মৃত্যুকে অন্যতম কারণ মনে করা হয়।

পড়াশোনা ও কর্মজীবন
সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা ১৯৩৪ সালের ১ মে ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে বাঁকুড়ার¯স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫০ সালে বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৩ সালে বিএসসি, সম্মান এবং ১৯৫৪ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। আবার, ১৯৬৪ সালে লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে জোহা পাকিস্তানের¯অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে সহযোগী কারখানা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে ওয়াহ ক্যান্টনমেন্টে সহকারী পরিচালক পদে যোগ দেন। তিনি ১৯৬১ সালে রয়্যাল অর্ডিন্যান্স থেকে ইস্তফা¯দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে নতুন কর্মজীবন শুরু করেন। একই বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে তিনি রিডার (সহযোগী অধ্যাপক) পদে পদোন্নতি লাভ করেন। শামসুজ্জোহা ১৯৬৫ সালে শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

রাবি ক্যাম্পাসের ১৪৪ ধারা
স্বৈরাচার আইয়ুব খানের শাসনকালে ১৯৬৬–এর ৬ দফা দাবি এবং তৎকালীন নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ আন্দোলন গড়ে তোলেন। ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা সেনানিবাসে ১৫ ফেব্রুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ফলে পরিস্থিতি আর প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। স্থানীয় জেলা প্রশাসন রাজশাহী শহরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের মিছিল-মিটিং সংক্রান্তšকার্যক্রমের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গের উদ্দেশ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ মুক্তিপ্রত্যাশী জনতা মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষকসহ স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় অনেকেই আহত হন, আবার অনেকেই গ্রেপ্তারও হন।

হাত উঁচিয়ে ড. জোহা পাকিস্তান সেনাদের বললেন, ‘প্লিজ, ডোন্ট ফায়ার’
এর পরদিন অর্থাৎ ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন নাটোর রোডে পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন দমাতে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। ওই দিন সকাল থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজিত ছিল। উত্তেজিত ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার প্রস্তুতি নেন। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে প্রস্তুত রাখা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্ররা সব প্রতিরোধ ও বাধাকে সঙ্গী করে মেইন গেটের প্রাচীর টপকে বের হয়ে পড়েন। সে পরিস্থিতিতে স্বাধীনতাকামী ছাত্রদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী রাইফেল উঁচিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকলে ছাত্ররা তাঁদের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হাদির সঙ্গে জোহা কথা বলার জন্য এগিয়ে যান এবং তাঁকে অনুরোধ করেন যেন পাকিস্তানের সেনাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মারাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া না হয়। মেইন গেট–সংলগ্ন নাটোর রোডে ছাত্রদের ঢল নামতে শুরু করলে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী ছাত্রদের ওপর গুলি করতে উদ্যত হয়। তখন জোহা হাত উঁচু করে মিলিটারিদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘প্লিজ, ডোন্ট ফায়ার! আমার ছাত্ররা এখান থেকে এখনই চলে যাবে...!’

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল খালেক বলেন, সেনা কর্মকর্তারা জোহাকে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করেছিলেন। জোহা বলেছিলেন যে তিনি ‘রিডার’। সেনা কর্মকর্তারা শুনেছিলেন ‘লিডার’। জোহা সেনাসদস্যদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানান। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী সেদিন তাঁর ওই অনুরোধ শোনেননি। পাকিস্তানি বাহিনী বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, রাইফেল দিয়ে গুলি করে তাঁকে আহত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেদিন পথে ব্যারিকেড থাকায় তাঁকে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর অস্ত্রোপচার টেবিলে শামসুজ্জোহা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহীসহ সারা দেশের মুক্তিপ্রত্যাশী জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ ও তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ প্রতিরোধ ও আন্দোলন প্রকাণ্ড আকার ধারণ করলে পাকিস্তানি বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেই সময় জটিল আকার ধারণ করেছিল।

শামসুজ্জোহার মৃত্যুর ঘটনা ওই সময় দেশের চলমান মুক্তির সংগ্রামে নতুনত্ব যোগ করে; আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে। ফলে তৎকালীন সরকার নিরুপায় হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হন। জোহার মৃত্যু আইয়ুব খান পতনকে ত্বরান্বিত করে; আইয়ুব খান তাঁর পরবর্তী সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। তাঁর মৃত্যু দেশবাসীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। দেশের মুক্তিপ্রত্যাশী জনগণ মুক্তিযুদ্ধের পথে অগ্রসর হয়। পরিতাপের বিষয়, জোহার মৃত্যুদিবসে স্মৃতিচারণা করেন শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন, তাঁরা।

জোহা প্রসঙ্গে তৎকালীন রাজশাহী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এবং সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, নাটোর মহকুমার আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম হাঁসু বলেন, ‘ড. শামসুজ্জোহা স্যারের মতো ছাত্রবান্ধব শিক্ষক সে সময় আর কেউ ছিলেন না এবং এখনো হয়তো নেই।’

১৮ ফেব্রুয়ারি ড. জোহা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রসায়ন বিভাগ, ঢাকায় রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, নাটোরে শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজসহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস দাবি করে ড. জোহা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অনেকে আবার ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস হিসেবেও পালন করেন। কিন্তু এর কোনো সরকারি স্বীকৃতি নেই । সেদিন জোহা স্যার মিলিটারিদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা করে নিজের বুকে গুলি পেতে নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলেই আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রাম আরও বেগবান হয়েছিল। তিনি ছাত্রদের কথা না ভেবে মিলিটারিদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা না করে নিশ্চুপ হয়ে স্থান ত্যাগ করতে পারতেন। তাতে হয়তো দু-একজন ছাত্র মারা যেতেন, তিনি বেঁচে যেতেন। শামসুজ্জোহা না মরে বেঁচে থাকলে হয়তো বিখ্যাত শিক্ষাবিদ বা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন¤গবেষক হতেন। কিন্তু তিনি পৃথিবীবিখ্যাত হতে চাননি, তিনি চেয়েছিলেন দেশমাতৃকার মুক্তি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। দুটোই পেয়েছেন, তবে জীবনের বিনিময়ে।

ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে শিক্ষকের আত্মাহুতির ঘটনা বিরল
শামসুজ্জোহা স্যার পৃথিবীর অনন্য ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার দাবিদার। বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব মিলিয়ে শিক্ষার নাজুক পরিবেশ বিরাজ করছে। ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির দোলাচলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অসহায় বোধ করেন। স্বার্থপরতা ও রাজনীতি শিক্ষকদের গ্রাস করছে, শিক্ষা ধীরে ধীরে ব্যবসার পণ্যে পরিণত হচ্ছে। শামসুজ্জোহার আদর্শ দেশের সব শিক্ষকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ শিক্ষক শুধু শিক্ষক হিসেবে নন, সব বাঙালির জন্যই গর্বের। ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষকের আত্মাহুতি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ড. জোহা নিজ জীবনকে তুচ্ছ করে ছাত্রদের জীবন বাঁচিয়েছেন। যাঁদের জীবন তিনি বাঁচিয়েছেন, তাঁদের হয়তো তিনি চিনতেনও না। অনেক শিক্ষকই ছাত্রদের জন্য উদার, কিন্তু জীবন দিয়ে দেবেন, এমন শিক্ষক কে আছেন জোহা ছাড়া? জোহার আত্মদানের আলেখ্য জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁকে সমাহিত করা হয়। এ চত্বর ‘জোহা চত্বর’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। জোহার নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহীদ শামসুজ্জোহা হল’ হলের নামকরণ করা হয়েছে। শহীদ শামসুজ্জোহা হলের মূল গেটের পাশে তাঁর স্মৃতি অক্ষুণ্নœরাখার জন্য তাঁর নামানুসারে ২০১২ সালে একটি স্মৃতি স্মারক ‘স্ফুলিঙ্গ’ নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ‘বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজ’ এ নামে একটি কলেজ রয়েছে। এ কলেজ ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, কলেজটিতে সম্মান কোর্স চালু করা হয়েছে এবং বর্তমানে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়েছে। তাঁর নামে মেহেরপুরে একটি পার্কেরও নামকরণ করা হয়েছে। জোহাকে ২০০৮ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তাঁর নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। কেবল স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ কি তাঁর মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট?

১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি
একজন জোহা রেখে গেছেন মুক্তিকামী সহস্র জোহাকে। শুধু শিক্ষক হিসেবে নন, একজন মুক্তিকামী মানুষ হিসেবে জোহা স্যার অনন্য। তাঁর চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশবাসীর কাছে, তরুণদের কাছে তাঁর কথা আমরা কতটুকু উপস্থাপন করতে পেরেছি, সেটা এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোহার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এ দিনটিকে জাতীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. জোহা দিবস; মৃত্যুর ৫০ বছর পরে সবার দাবি দিনটিকে ঘোষণা করা হোক জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে।

লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র