চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ক্যাম্পাস জবে আগ্রহ শিক্ষার্থীদের

উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর সঙ্গে স্টুডেন্ট সাপোর্টার হিসেবে কাজ করা একঝাঁক শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর সঙ্গে স্টুডেন্ট সাপোর্টার হিসেবে কাজ করা একঝাঁক শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

‘ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এখানে কাজ করছি। খু-উ-ব-ই ভালো লাগছে। প্রশাসনিক কাজের দক্ষতা বাড়ছে। আমরা নিজেরাই শিক্ষার্থী, নিজেরাই আবার নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছি।’

কথাগুলো বলছিলেন বিবিএ ছাত্রী উম্মে হানি চৌধুরী। পড়ছেন চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে)। তবে কেবল উম্মে হানি চৌধুরী নয়, তার মতো সিআইইউর এমন আরও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে এখানে ক্যাম্পাস জবের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

সিআইইউর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট’ হিসেবে উম্মে হানি চৌধুরীর মতো ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছেন অনেকে। কাজ করতে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন কিংবা সিআইইউর বড় কর্মকর্তাদের পাশে থেকে কাজ শেখার অনুভূতিগুলো কি-এমন সব চমৎকার বিষয়গুলো উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর কাছে ব্যক্ত করতে পেরে তারা যেন ভীষণ আনন্দিত।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষে স্টুডেন্ট সাপোর্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময়। এই সময় ক্যাম্পাস জবের সঙ্গে জড়িত ১০ শিক্ষার্থী তাদের কাজের গল্পগুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

কেউ কেউ জানান, হাতে কলমে কাজ শেখার কারণে তাদের ভেতর আগের চেয়ে দায়িত্বশীলতার গুণটি বেড়েছে। অনেকে আবার জানান, সময় মতো কাজ শেষ করা, ফাইল প্রস্তুত করা, সিনিয়রদের কাজগুলো খুব কাছ থেকে দেখা, চ্যালেঞ্জ নেওয়া-এমন সব বিষয়গুলো তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সব সময় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

শাহেদ বিন রফিক নামের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের একজন ছাত্র বলেন, সিআইইউতে ভর্তি হওয়ার পর জেনেছি এখানে পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যাম্পাস জবের সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের কাজ একজন শিক্ষার্থীকে আরও দক্ষ ও চৌকস করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

একই অনুভূতির কথা জানান মুনা, মুনতাসির, শাহাদাত, সৌমিত, মুনতাসির, সপ্তবর্ণা, আতিয়া, ফারাহ, জান্নাতসহ অনেকে।

উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী কোনো কাজই ছোট নয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। কাজের ভেতর লুকিয়ে আছে সৃষ্টিশীলতা। সুস্থ কর্মচর্চার মধ্য দিয়ে মানুষ বড় হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিআইইউর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা বেগম (এফসিএ), সিআইটিএস শাখার উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডমিন শাখার উপপরিচালক কুমার দোয়েল দে, সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হক, সিনিয়র অফিসার জাফরীন চৌধুরী, বিশ্বনাথ দে প্রমুখ।