মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের অপ্রকাশিত চিঠি

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত

আমাদের চা–বাগানগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ইতিহাসের এক অমূল্য উপাদান। সম্মুখ সমরক্ষেত্র হিসেবেও এগুলোর রয়েছে অতুলনীয় গৌরব গাথা। ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার শিরোনাম ছিল ‘ইস্ট পাকিস্তানস টি প্ল্যান্টেশনস হিয়ার থান্ডার অব বর্ডার গান্স’। চা–বাগানগুলো ছিল সব সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে। সে সময় বাগানের ব্যবস্থাপকদের অধিকাংশই ছিলেন অবাঙালি। ইংল্যান্ডের বেলফাস্ট থেকে টি টেকনোলজির ওপর ডিগ্রি নেওয়া সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল ছিলেন সংখ্যালঘু বাঙালি ব্যবস্থাপকদের একজন।

চা–বাগানের সৈয়দ আব্দালসহ অনেককে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানের সেনাসদস্যরা। এরপর খবর মেলে সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হয়েছেন।

১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির প্রথমাংশ। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত
১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির প্রথমাংশ। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত

সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল দায়িত্বরত ছিলেন সিলেটে লাক্কাতুরা চা–বাগানে। তিনি সিলেটেরই সন্তান। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জ সদরের আউশপাড়া গ্রামে। বেলফাস্টের স্বনামধন্য সিরোক্কো ওয়ার্ক্সে চাকরির সুযোগ মিললেও দেশ ও মাটির টানে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন লাক্কাতুরায়। এটা ছিল ১৯৬০ সালের কথা। কর্মস্থলে তখন ছিল ব্যাপক বৈষম্য। সহজে পদোন্নতি দেওয়া হতো না বাঙালি ব্যবস্থাপকদের। সিরাজুল আব্দালও ছিলেন পদোন্নতিবঞ্চিত। স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তির চিন্তা যাঁর শিরা-উপশিরায়, শুধু বাগানের দেখভাল কি তাঁকে মানায়! তাঁর সহধর্মিণী সৈয়দা সাকিনা আব্দালের কাছ থেকে জানা যায়, বাংলা বর্ণমালার একটি বই তিনি বেনামে চা–বাগানের সব উর্দুভাষী পাকিস্তানি ম্যানেজারদের পাঠিয়েছিলেন। বইটির ভেতরে চিরকুটে লেখা ছিল, ‘এই দেশে থাকতে হলে বাংলা ভাষা শিখতে হবে’! এটা কার কাজ হতে পারে, তাঁরা ঠিকই বুঝে নিয়েছিলেন।

ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির শেষাংশ। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত
ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির শেষাংশ। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত

মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম এবং বঞ্চনা-বৈষম্যের প্রতিবাদে পরবর্তীতে সিরাজুল আব্দাল সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অপূর্ব শর্মার লেখা ‘চা বাগানে গণহত্যা ১৯৭১’ গ্রন্থ (পৃঃ ৭৯-৮০) থেকে জানা যায়, বাগানের শ্রমিকদের সংগঠিত করে একাত্তরের মার্চে তিনি সিলেট বিমানবন্দর সড়কে ব্যারিকেড দেন। বিমানবন্দরসংলগ্ন ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনারা যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্যই ছিল এই প্রতিরোধ। ১৯৭১ সালে ১ এপ্রিল খান সেনারা লাক্কাতুরার ফাঁড়ি বাগান কেওয়াছড়া থেকে ধরে নিয়ে যান সিরাজুল আব্দালকে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাংলোতে। হত্যা করা হয় সাতজন বাগানশ্রমিককে। এ প্রসঙ্গে সাবেক সাংসদ দেওয়ান ফরিদ গাজী ‘আমার দেখা স্বাধীনতা যুদ্ধ’–তে (পৃঃ ১২১) লিখেছেন, ‘৭ এপ্রিল ক্যাপ্টেন আজিজ (পরে বিডিআরের ডিজি) শোয়েব চৌধুরীসহ আমি সিলেট জেলে ও থানায় গিয়ে সকল আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেই। তখন সিলেট জেলে মৌলভীবাজারের এসপিএ আজিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যোমকেশ ঘোষ, আমার স্ত্রীর আপন ভাই মহিবুর রেজা ও চা বাগানের ম্যানেজার সৈয়দ আব্দালসহ অনেক নেতৃবৃন্দ ছিলেন।’

ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির প্রথমাংশ। চিঠিটি ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল লেখা।
ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির প্রথমাংশ। চিঠিটি ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল লেখা।

১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের জ্যেষ্ঠ সন্তান বাতরোগ বিশেষজ্ঞ মেজর (অব.) সৈয়দ জামাল আব্দালের বয়স ছিল সাত বছর, বড় মেয়ে সৈয়দা তাহমিনা এলাহীর বয়স ছিল ছয় বছর এবং ছোট মেয়ে সৈয়দা সায়মা আহমেদের বয়স ছিল আড়াই বছর।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে জামাল আব্দাল জানান, বাবার একটি গাড়ি ছিল করটিনা মডেলের। তিনি নিজেই সেটা চালাতে পছন্দ করতেন। টি প্ল্যান্টার নূর খান চাচা ছিলেন বাবার সহকর্মী। আমাদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। উর্দুভাষী হওয়ার সুবাদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়ে যান লাক্কাতুরা বাগানের ব্যবস্থাপক। বড্ড ভালোবাসতেন বাঙালিদের। ১ এপ্রিল বাবাকে যখন ধরে নিয়ে যায়, সেই দুঃসময়েও নূর চাচা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। বাবাকে মুক্ত করে আনতে তিনি খাদিমনগরও গিয়েছিলেন। পাকিস্তান সেনাদের নিকটস্থ ক্যাম্প ছিল তখন খাদিমনগর চা–বাগানে। কিন্তু ইতিমধ্যেই খাদিমনগর মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এটা জানা ছিল না নূর চাচার। উর্দুভাষী পাকিস্তানি হওয়ার সুবাদে তিনি মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাবা বেশ কিছুদিনের জন্য ত্রিপুরা গিয়েছিলেন, যা বহু বছর পর চাচাতো ভাই শহীদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি। শহীদ ভাইয়ের কাছে লেখা বাবার দুটি চিঠি পরবর্তী সময়ে তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহ করার সুযোগ হয়। বাবার ডাকনাম ছিল মামুন। উনি একটি চিঠির ওপরে নিজের নাম লিখেছেন S S Abdal, অপরটিতে লিখেছেন S M mamun। ছদ্মনামের এই ব্যবহার বোধ করি, যুদ্ধকালীন সময়ের বিবেচনায়। একটি চিঠি ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল তারিখের। অপরটির ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল তারিখের। চিঠিগুলো পড়ে দেশের জন্য বাবার সার্বক্ষণিক চিন্তাটা বেশ অনুভব করা যায়। ৩ নম্বর সেক্টরের একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে পরে শুনেছিলাম যে তিনি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারত গিয়েছিলেন।

ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির শেষাংশ। চিঠিটি ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল লেখা।
ভ্রাতুষ্পুত্রকে লেখা চিঠির শেষাংশ। চিঠিটি ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল লেখা।

স্বামীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সৈয়দা সাকিনা আব্দাল বলেন, ‘তাঁকে খান সেনারা যখন ধরে নিয়ে যায়, আমরা তখন কী করব, কোথায় যাব, এমন একটা দিশেহারা অবস্থায়। চারদিকে যে যেদিকে পারছে, সপরিবারে পালাচ্ছে। প্রথমে সিলেটের চৌকিদেখির বড় আপার বাসায়, পরে পীর মহল্লায় খালাতো বোনের বাসায়, অতঃপর চাচাতো বোনের স্বামী হজরত শাহ জালাল (র.)–এর দরগাহর মোতাওয়াল্লী সাহেবের বাসায় আশ্রয় নিই। সেখান থেকে যাই আমার নানাবাড়ি শেরপুরের আওরঙ্গপুর গ্রামে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমার স্বামীও আমাদের খুঁজে খুঁজে আওরঙ্গপুর গিয়ে হাজির। আমরা সপরিবারে তখন চলে যাই বাবার বাড়ি, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার পাল্লাকান্দি গ্রামে। আমার বাবা ছিলেন পাল্লাকান্দি চা–বাগানের মালিক, পরে যা ডানকান ব্রাদার্স কিনে নেয়। স্বামীকে মাঝেমধ্যেই রাতে দেখতে পেতাম না। কোনো কিছু না বলে তিনি যেন কোথায় হারিয়ে যেতেন। বাবা ওনাকে সপরিবারে ভারত যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমাদের কিছু আত্মীয়ও ছিল আসামে। কিন্তু আমার স্বামীকে ভারত যাওয়ার ব্যাপারে কোনোভাবেই রাজী করাতে সক্ষম হইনি। এরূপ প্রতিকূল একটি অবস্থায়, ১৯৭১ সালের ১৩ মে হঠাৎ করে চা–বাগানে আব্দালের এক বাঙালি সহকর্মী মনসুর চৌধুরী এসে হাজির। পাকিস্তান আর্মির ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক পীড়াপীড়ি করেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে আব্দাল, খান সেনাদের কুলাউড়াতে অবস্থিত রিজওনাল হেডকোয়ার্টারে গিয়ে কর্নেল সরফরাজ মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে সিরাজুল আব্দালকে নিয়ে ফিরে আসেন মনসুর চৌধুরী। যাওয়ার সময় মনসুর চৌধুরী বলে যান, আব্দালের কথাবার্তা তো এখনো ঠিক হয়নি। এর ঠিক পরদিনই সকাল নয়টার দিকে আর্মি আমাদের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির দুপাশে এলএমজি পোস্ট বসায়। দলের দায়িত্বে ছিল তৎকালীন মেজর আবদুল ওয়াহেদ মুঘল। পরবর্তী সময়ে জেনেছি, এই লোকটি ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর একজন। আমার স্বামীর একটি ছবি বের করে সে। আমাকে বলল, যদি স্বামীকে বের করে না দাও, তাহলে তোমাদের পুরুষদের সবাইকে মেরে ফেলব এবং মেয়েদের সবাইকে ধরে নিয়ে যাব। এরপর বাড়িতেও আগুন জ্বালিয়ে দেব। ইতিমধ্যেই সৈন্যরা বাড়ির সবাইকে নিয়ে এক লাইনে দাঁড় করায়। বাবা এবং ভাইয়া আব্দালকে বাড়ির কাছাকাছিই খুঁজে পায়। আব্দাল তাঁকে নিয়ে যাওয়ার আগে খান সেনাদের কাছে দুই রাকায়াত নামাজ পড়ার অনুমতি চেয়ে নেয়। একটা ফুলহাতা শার্ট, একটা লুঙ্গি ও একটা টাওয়েল নিয়ে আমার স্বামী তাদের সঙ্গে যায়। এই তার শেষ যাওয়া। চা–বাগানের সেই ঘণ্টাধ্বনি এবং স্বামীর স্মৃতিগুলো এখনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।’

সিরাজুল আব্দালকে নিয়ে আমিন‌ূর রশীদ চৌধুরীর স্মৃতিচারণা। ১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে যুগভেরী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এই স্মৃতিচারণা। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত
সিরাজুল আব্দালকে নিয়ে আমিন‌ূর রশীদ চৌধুরীর স্মৃতিচারণা। ১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে যুগভেরী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এই স্মৃতিচারণা। ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল আব্দাল। ছবি: মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালের পরিবারের নিকট হতে সংগৃহীত

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সিরাজুল আব্দালের পরিবার, সর্বপ্রথম আমিনূর রশীদ চৌধুরীর কাছে তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানতে পারেন। আমিনূর রশীদ হলেন সিলেটের প্রাচীনতম বাংলা সাপ্তাহিক (প্রথম প্রকাশ ১৯৩১) যুগভেরী পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বড় ভাই। ১৯৭১ সালের ১৯ মে মেরে ফেলার আগপর্যন্ত আমিনূর রশীদ ও সিরাজুল আব্দাল দুজন পাশাপাশি কক্ষে ছিলেন। সে সময়কার বর্ণনা করতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ১ এপ্রিল যুগভেরী পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেই হলাম বন্দী।...সালুটিকর বিমানবন্দরের কাছে। একটি ছোট্ট কামরায়।...হঠাৎ দেখি আব্দাল উল্টোদিকে ছোট কামরায়।..একদিন দুপুরে আব্দালকে কিছুক্ষণ তার ছোট্ট ঘরে দেখি নেই। তারপর ঘণ্টাখানেক পরে ফেরত এসে আমাকে ইশারা করে দেখালেন—ওর রক্ত নিয়েছে পাকিস্তানি জালিমদের বাঁচানোর জন্য।...১৯ মে তারিখে ওকে চোখ বেঁধে, হাত পেছন থেকে বেঁধে, নিয়ে গেছে আমাদের বন্দীখানা থেকে।’ সৌভাগ্যক্রমে আমিনূর রশীদ চৌধুরী বেঁচে ফিরেছিলেন। তাঁর ধারণা, সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে বধ্যভূমিতে স্থান পেয়েছে সিরাজুল আব্দালের লাশ।

সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে বধ্যভূমি। ধারণা করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালকে এখানেই কবরস্থ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে বধ্যভূমি। ধারণা করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আব্দালকে এখানেই কবরস্থ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সিরাজুল আব্দালের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মিলেছে। সিরাজুল আব্দালের পরিবার এ জন্য রাষ্ট্রের নিকট কৃতজ্ঞ।

তবে সৈয়দা সাকিনা আব্দাল মনে করেন, বধ্যভূমিতে তাঁর স্বামীসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম তাঁদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন। বেঁচে থাকবেন লক্ষ মানুষের মনের মণিকোঠায়।

*লেখক: হোসাইন মোহাম্মদ জাকি