লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে 'মুক্তিযুদ্ধে রেডিও'র আলোচনা ২৮ ফেব্রুয়ারি

‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সংখ্যাটি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি, বেলা তিনটায় লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রকাশনা উৎসব ও সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সংখ্যাটি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি, বেলা তিনটায় লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রকাশনা উৎসব ও সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন মুক্ত আসরের উদ্যোগে দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক স্বপ্ন’৭১-এর দশম সংখ্যা ‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণমাধ্যম হিসেবে রেডিওর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। এই গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাটি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রকাশনা উৎসব ও সংবাদ সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধে রেড়িও নিয়ে আলোচনা করবেন লেখক ও গবেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকার ও ব্যারিস্টার ইসলাম খান।

‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সম্পাদনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও কবি আবু সাঈদ।

‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সংখ্যা নিয়ে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী। ছবি: বাসস
‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ সংখ্যা নিয়ে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী। ছবি: বাসস

আবু সাঈদ তাঁর সম্পাদকীয় লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বেতার ছিল অন্যতম অস্ত্র’। তিনি আরও লিখেছেন, তরুণসমাজের অনেকেই জানে না বাংলাদেশের জন্মের পেছনে বেতারগুলো কী অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছে। সেই সময়ে হতাশগ্রস্ত জাতিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আকাশবাণী, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও অস্ট্রেলিয়া, রেডিও জাপানসহ বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র তাদের নিয়মিত খবর, গান, কথিকা, সংবাদ পর্যালোচনা প্রভৃতি প্রচারের মাধ্যমে কীভাবে উজ্জীবিত করেছিল, আবার রেডিও পাকিস্তান এ দেশের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে কীভাবে অপপ্রচার করেছিল, এসব বিষয় রেডিও সংখ্যায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

৪৬৪ পৃষ্ঠার রেডিও সংখ্যাটিতে দেশ-বিদেশের গবেষক, লেখক ও ইতিহাসবিদের প্রবন্ধ; বাংলাদেশ ও ভারতের শব্দসৈনিকদের লেখা ও সাক্ষাৎকার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাদের জবানবন্দি, অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা, গান, কবিতা, গল্প, বিশিষ্ট লেখকদের স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে রেডিও, শ্রোতা, প্রতিবেদন, দলিলপত্র থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র, সীমানা পেরিয়ে বিভাগে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আত্মজীবনীমূলক বই ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’ থেকে বিদেশের মাটিতে কীভাবে রেডিও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিল, তা পুনর্মুদ্রণ, কিছু লেখা ভিডিও থেকে শ্রুতিলেখন, বইয়ের আলোচনাসহ নানা বিষয় থাকছে।