পাহাড় কাটায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চার প্রতিষ্ঠানের অর্থদণ্ড

পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে পাহাড় কাটার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে পাহাড় কাটার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পাহাড় কাটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে শুনানি শেষে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও জরিমানাভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজ, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেড, মেসার্স আবদুর রাজ্জাক ও জাকির এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড খোকন কনস্ট্রাকশন। এসব প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজকে ৭৬ হাজার ২৫০ টাকা, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেডকে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ টাকা, মেসার্স আবদুর রাজ্জাককে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং জাকির এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড খোকন কনস্ট্রাকশনকে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আদেশে পাহাড়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয় এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও এ ধরনের অপরাধ না করার জন্য অঙ্গীকারনামা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়। আইনে পাহাড় বা টিলা কাটার জন্য ছাড়পত্রের বিধান থাকলেও ছাড়পত্র না নিয়েই একের পর এক পাহাড়-টিলা কাটছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পাহাড়গুলো সংরক্ষণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, পাহাড়গুলোকে গার্ড ওয়াল দিয়ে এবং পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করা হবে।