বন্ধুর প্রতি ভালোবাসায় রাকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন

ত্রিশালের গৃহহীন রোকেয়া বেগমকে বসবাসের জন্য এই ঘর তৈরি করে দিয়েছে রাকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিশালের গৃহহীন রোকেয়া বেগমকে বসবাসের জন্য এই ঘর তৈরি করে দিয়েছে রাকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত

বন্ধু নির্ভরতার নাম, বন্ধু চলার পথে সুখে-দুঃখে পাশে থাকা সম্পর্কের নাম। বন্ধুত্বে কোনো সীমারেখা নেই, নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। বন্ধু শুধুই বন্ধু।

রাকিবের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তাঁর বন্ধুরা। ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল সদরের বাসিন্দা রাকিবুল হাসান (বাবা জালাল উদ্দিন, মা কমলা খাতুন) অকালে মারা গিয়েছেন। একদল তরুণ ওই বন্ধুর জন্য গঠন করেন ‘রাকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।’ ২০২০ সালেই এই ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কাজও করেছে তারা। এবার জানব সে সম্পর্কে।

ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম গৃহহীন হয়ে পড়েন। এই নারীকে বসবাসের জন্য ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন একটি ঘর তৈরি করে দিয়েছে রাকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। রোকেয়া বেগম ঘর পেয়ে খুবই খুশি।

প্রতিক্রিয়ায় রোকেয়া বেগম জানালেন, সম্প্রতি ঝড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বামী নেই। সংসারের উপার্জন নেই। তিন বেলা খাবার জোটে না। ঘর নেই, গাছতলায় থাকতে হতো। রাকিব ফাউন্ডেশনকে আল্লাহ ভালো করুক বলে জানান তিনি।

ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গরিব দুঃখীদের সহযোগিতা করে রাকিবের স্মৃতি ধরে রাখা। রাকিবের বন্ধুরা নিজ উদ্যোগে একটি তহবিল সংগ্রহ করে ফাউন্ডেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবহেলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া, চিকিৎসাসহায়তা করা ছাড়াও গৃহহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাকিবের বন্ধুরা।

সংগঠনটির সদস্য মোহাম্মদ মিনহাজ জানালেন, ত্রিশালের সচ্ছল কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরাই ফাউন্ডেশনে টাকা দেন। এই টাকা থেকে বেশ কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

মোহাম্মদ মিনহাজ আরও জানালেন, তাঁরা একটি ট্রাস্ট গঠনের চেষ্টা করছেন। বন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে শিক্ষাবৃত্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। যাতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা যায়। পাশাপাশি এই গৃহ নির্মাণ প্রকল্পটি চলমান থাকবে। তরুণ প্রজন্মকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে কয়েকটি প্রকল্পের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।