দুর্ভোগের আরেক নাম ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটের জনপ্রিয় ট্রেন ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটের জনপ্রিয় ট্রেন ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটের জনপ্রিয় ট্রেন ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস। দেওয়ানগঞ্জ অভিমুখী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস বর্তমানে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে গন্তব্য স্টেশন দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। আবার সকাল দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন হতে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছায় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে।

ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের সময়সূচি কার্যত খাতা-কলমের মধ্যই সীমাবদ্ধ। কেননা এই ট্রেন ৯০ শতাংশ সময়-সময় মেনে চলে না। ইঞ্জিনের অভাবে ঢাকা হতে ছাড়তে দেরি হয়। এর ফলে ট্রেনটির পৌঁছাতে রাত ১টা বা এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। আর সঙ্গে আছে ক্রসিং বিড়ম্বনা, খারাপ লাইন।

বর্তমানে ট্রেনটির কোচগুলোর অবস্থা বেহাল। অনেক কোচের জানালা খোলা যায় না। টয়লেটে নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। চেয়ারগুলোর অবস্থা বেহাল, বসার জন্য আরামদায়ক নয়।

কিন্তু এ ট্রেনটিই জামালপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের মানুষের ভরসার প্রতীক। বর্তমানে এই ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন কুড়িগ্রামের রৌমারী, গাইবান্ধা, বগুড়ার বাসিন্দারাও। আগের সময়সূচির কারণে অনেক চাকরিজীবী অফিস করে আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতে পারতেন। বর্তমানে সময় পরিবর্তনের ফলে তা আর সম্ভব নয়।

আগে এই ট্রেনটি ‘একতা এক্সপ্রেস’ নামেই ঢাকা-দিনাজপুর পর্যন্ত চলাচল করত। ট্রেনটির ছিল একটি গৌরবময় ইতিহাস। একতা এক্সপ্রেস পরিচিত ছিল একরকমের স্বল্প বিরতির ট্রেন হিসেবেই। বর্তমানে সেই যুগ আর নেই। অতিরিক্ত যাত্রাবিরতি, ক্রসিং বিড়ম্বনা, সিংগেল লাইন ও লাইনের বেহাল অবস্থার ফলে মরতে বসেছে ও জৌলুশ হারিয়েছে ৩৬ বছর পুরোনো এই ঐতিহাসিক ট্রেনটি। অথচ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ট্রেনটি আবারও হয়ে উঠতে পারে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ট্রেন।