অফিসে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমাদের অফিস বা কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় কাজের জন্য। কিন্তু কর্মক্ষেত্র যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তো কাজ করা সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের সবার জানা উচিত কীভাবে আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্র কোভিড-১৯–মুক্ত রাখতে পারি।

প্রথমেই জেনে নিই কীভাবে কোভিড-১৯ ছড়ায়। এই ভাইরাসটি মূলত কেউ যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন এবং তাহলে তাঁর কফ বা থুতুতেও এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। যখন তিনি হাঁচি বা কাঁশি দেন, তখন এই তরল পদার্থটি অফিসের ডেস্ক, টেবিল বা টেলিফোনের ওপর পড়ে এবং সহজেই অন্য যেকোনো ব্যক্তি ওই জায়গাগুলোর সংস্পর্শে আসামাত্রই কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হন। অর্থাৎ এই ভাইরাসটি খুব সহজেই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, অফিসে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে—

১.
কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা। যেমন—অফিসের টেবিল, ডেস্ক, টেলিফোন, কম্পিউটার, কি–বোর্ড ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা। সে ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতা এবং সেবাদাতা দুজনেরই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।

২.
অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, কাস্টমার এবং অন্য আগন্তুক ব্যক্তিদের নিয়মিত হাত ধোয়ার অনুশীলন করানো এবং অফিসে ঢোকার আগেই সবাই যেন হাত ধুয়ে অফিসে ঢোকেন, সেটিও নিশ্চিত করা। অর্থাৎ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৩.
মুখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, বিশেষ করে যাঁদের সর্দি, কাশি এবং হাঁচি হয়, তারা অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করে অফিসে ঢুকবেন। সব সময় টিস্যু ব্যবহার করা এবং যথাযথ জায়গায় ফেলা, যাতে অন্য কেউ সেটা থেকে সংক্রমিত না হয়।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

৪.
ব্যবসায়িক ভ্রমণের আগে কর্মকর্তা এবং কন্ট্রাক্টরদের জাতীয় ভ্রমণ নীতিমালা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করুন।

৫.
কর্মক্ষেত্রে করমর্দন, কোলাকুলি ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল, টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন। যদি সম্ভব হয় মোটামুটি এক মিটার দূরত্বে প্রত্যেকের বসার ব্যবস্থা করুন।

৬.
যদি কারও সর্দি, কাশি বা হালকা জ্বর থাকে, তাহলে বাড়িতে থাকার (হোম কোয়ারেন্টিন) পরামর্শ দিন। অফিসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোভিড-১৯–সম্পর্কিত তথ্যসংবলিত পোস্টার বা ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা করুন।

৭.
সম্ভব হলে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অফিশিয়াল মিটিং সম্পন্ন করুন।

এ ছাড়া প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অফিসের সবার উচিত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তাহলে খুব সহজেই আমরা কোভিড-১৯–এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারব। তাই আসুন, নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন হতে সাহায্য করি। সচেতনতাই কোভিড-১৯ থেকে মুক্তির সর্বোত্তম উপায়।

*লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ