করোনা: কী করব আর কী করব না

হোম কোয়ারেন্টিনের সময়টাতে অযথা টাইম পাস না করে সময়টাকে কাজে লাগান। সারা দিন রিমোট টিপে আর মোবাইল কোম্পানিগুলোকে লাভবান করে ফেসবুকে আলোচনা ও সমালোচনা না দিয়ে সৃজনশীল কিছু কাজ করুন।

বই পড়ুন, বাসায় খুঁজে দেখুন কোনো না কোনো বই না পড়া রয়েই গেছে কোনো কোণায়। এই ফাঁকে মেয়েরা রান্নাটা আরও ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন। ছেলেরাও কথায় কথায় রান্নার ভুল না ধরে দু-এক দিন রান্নাঘরে যান, তাহলেই বুঝবেন ঘরের কাজ বাইরের কাজ বলে ডিফারেন্টসিয়েট করার মতো কিছু নেই। আসলে সব কাজ যে যার জায়গাতে যথেষ্ট পরিশ্রমের ব্যাপার। বরং আপনার বাড়ির মেয়েরা যদি চাকরি করার পাশাপাশি রান্নাঘর সামলান, তাহলে তাঁর প্রতি আপনার সম্মান বেড়ে যাবে নিশ্চিত।

ভাবিরা ভাইদের মাথা খাইয়েন না দয়া করে। তাঁর ফোনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন না। এক জীবনে আপনার সব না জানলেও চলবে। জীবনে কিছু আড়াল থাকা ভালো, পারলে দুজন মিলে নতুন কিছু শিখুন, বাসাটাকে রিডেকোরেট করুন, যাঁরা মা–বাবার কাছে আছেন, তাঁরা মা–বাবাকে রান্না করে খাওয়ান, হাতের কাজে সাহায্য করুন, দম্পতিরা একে অপরের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবেন না। করোনা তো পালাবেই সঙ্গে আপনার পার্টনার পালাবে। আমার মতো সিঙ্গেলরা আরও বেশি অলস না হয়ে বই পড়ুন, বাসার কাজ করুন, সেলাই শিখুন।

আর যাঁরা ফ্রন্ট পেজে কাজ করছেন যেমন প্রশাসন, পুলিশ, ডাক্তার; তাঁদের যে যেভাবে পারেন ইন্সপায়ার করুন। তাদের জন্য দোয়া করুন। সর্বোপরি ঘরের বাইরে সাপ আছে মনে করে ঘরে বসে থাকুন, যত দিন না আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠছি। সাধারণ জনগণ হিসেবে ঘরে শুয়েবসে বিশাল এক যুদ্ধের সৈনিক হওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করবেন না দয়া করে। সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলুন। বারবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন, বাসা পরিষ্কার রাখুন।

সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে ডাক্তার, পুলিশ প্রশাসন কেউই এই সময়টাতে আমরা একে অপরকে দোষারোপ বা অভিযোগ না করে সবাই হাতে হাত রেখে দেশটাকে রক্ষা করি।

আমাদের মধ্যেই এত মতবিরোধ যে এ জন্য কেউ আমাদের মূল্যায়ন করে না সহজে। একবার এই সর্বনাশা করোনাকে দেশ থেকে বিদায় করি। এরপর আবার যে যার মতো অন্যর দোষ খোঁজা যাবে। আমরা পরস্পরের দোষ খোঁজায় যথেষ্ট পারদর্শী। সুতরাং এত তাড়াতাড়ি সেটা ভুলব না। সুতরাং টেনশন করবেন না...তত দিন দ্রুত বাংলাদেশ সুস্থ হয়ে উঠুক—এই প্রত্যাশা ও চেষ্টা হক সকলের।