সামাজিক দূরত্ব রেখে ত্রাণ কীভাবে দেবেন তা দেখালেন রাজধানীর তিন তরুণ

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আঁকা হচ্ছে গোল দাগ। ছবি: লেখক
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আঁকা হচ্ছে গোল দাগ। ছবি: লেখক

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে নাগরিকদের বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এতে সাড়া দিয়ে নাগরিকেরা এখন অবস্থান করছেন নিজ নিজ বাসায়। এর ফলে কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এমন অবস্থায় বিত্তবান মানুষেরা তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় ভিড় লেগে যাচ্ছে, হচ্ছে জনসমাগম, রক্ষিত হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় রাজধানীতে তিন তরুণ দেখালেন ভিড় এড়িয়ে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর উপায়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যক্তিরা। ছবি: লেখক
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যক্তিরা। ছবি: লেখক

এই তিন তরুণ হলেন মো. রিজওয়ান আলমগীর, আহমেদ সালেহ আবদুল্লাহ ও শারজীন আহমেদ।

ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরুর আগে তাঁরা রাস্তায় তিন ফুট দূরে দূরে বৃত্ত আঁকেন এবং প্রতিটি বৃত্তে একজন করে ত্রাণগ্রহীতা দাঁড়ান। সামনের ব্যক্তি ত্রাণ গ্রহণ করে চলে যাওয়ার পর পেছনের বৃত্তে অবস্থান করা ব্যক্তি সামনের বৃত্তে চলে আসেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে আগত ব্যক্তিরা একের পর এক ত্রাণ গ্রহণ করেন। গত রোববার ২৯ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এভাবে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে নিজ উদ্যোগে ৪৫০ কেজি চাল, ডাল ও আলু বিতরণ করেন তিন তরুণ। এতে সহযোগিতা করেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ সদস্যরা।

ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: লেখক
ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: লেখক

মো. রিজওয়ান আলমগীর বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার। আবার তিনি আহ্বান জানিয়েছেন সাধ্যমতো অসহায় ও দুস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য। তাই যাতে একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো যায়, সেই পরিকল্পনা করি আমরা।