ক্যারিয়ার গড়তে জাতীয় দলকে বিদায় বলেছিলেন অলিভিয়ের

জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করা যেকোন ক্রিকেটারের জন্যই স্বপ্নকে পাওয়ার সমান। এতো ক্রিকেটারের মাঝে খুব কম ক্রিকেটারই ভাগ্য জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এম এস ধোনিও জাতীয় দলে খেলতে অনেক সংগ্রাম করেছেন। বলিউড মুভি এমএস ধোনি দ্যা আনটোল্ড স্টোরিতে সেই কাহিনী উঠে এসেছে।

বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেক ক্রিকেটারও রয়েছে যারা একদেশের বংশোদ্ভূত হয়ে অন্য দেশের জাতীয় দলে খেলেছেন। এখনও অনেক ক্রিকেটার খেলছেন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লুক রনকি নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে খেলেছেন। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও অনেকে আবার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন। তেমন একজন ক্রিকেটারের কথাই বলব আজ।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল। সেই সিরিজে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন, ফিল্যান্ডার, ও রাবাদার মতো তিনজন বিশ্বমানের পেস বোলার থাকলেও সব আলো কেড়ে নিয়েছিললেন একজন উদীয়মান পেস বোলার। তিনি ডোয়াইন অলিভিয়ের।

ডোয়াইন অলিভিয়ের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে পেয়েছিলেন ২৪ উইকেট, হয়েছিলেন ম্যান অফ দ্যা সিরিজও । ফাস্ট ও বাউন্স বলে একাই নাস্তানাবুদ করেছিলেন পাকিস্তান দলকে। প্রিটোরিয়া টেস্টে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। অল্প দিনেই উঠে এসেছিলেন বোলারদের সেরা ১৯ নম্বর স্থানে।

কিন্তু এক সিরিজ পরেই বিদায় জানান দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটকে। গ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ক্লাবে খেলার চুক্তি। যেখানে অন্য ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন সেখানে অলিভিয়ের পুরোপুরি ব্যতিক্রম। জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে শংকাকে।

ডোয়াইন অলিভিয়ের ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট ক্লাস ম্যাচে খেলার সুযোগ পান। নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কাড়েন সবার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ‌‌এ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভালো খেলেন। সুযোগ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে খেলার। এরপর জাতীয় দলের হয়ে ১০ টেস্ট ম্যাচে ১৯.২৫ গড়ে পেয়েছেন ৪৮ উইকেট। ২টি মাত্র ওয়ানডে খেলে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বিশ্বমানের অনেক পেস বোলারের জন্ম দিয়েছে। অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, মাখায়া এনটিনি, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল তাদের মধ্যে অন্যতম। হয়তো ডোয়াইন অলিভিয়ের এর নামও একসময় তাদের পাশেই উচ্চারিত হতো। বিশ্ব ক্রিকেটও পেত তার মতো একজন পেস বোলার।