করোনার সাম্যের শিক্ষা ও পয়লা বৈশাখ ১৪২৭

বাংলা একাডেমির অভিধানটি ‘সাম্য’ কথাটির অর্থ বলতে—সমদর্শিতা, সমতা, সাদৃশ্য বোঝানো হয়েছে। সাম্যবাদ বলতে রাষ্ট্রের সব মানুষের জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সমান অধিকার থাকা উচিত—এই মতবাদকে বোঝানো হয়েছে। 

পয়লা বৈশাখ বাঙালি জাতির একটি সাম্যের অনুষ্ঠান। এ দিনে সব বাঙালি প্রাণের টানে একত্র হয়। সব ভেদাভেদ ভুলে যায়। সবাই মিলে সাম্যের গান গায়, যেটি পৃথিবীর মানুষের জন্য খুব দরকার সব সময়। আজকের পৃথিবীতে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।


মার্কস-এঙ্গেলস স্বপ্ন দেখেছিলেন পারিবারিক সাম্যবাদের। আর এই পারিবারিক সাম্যবাদ পরিব্যাপ্ত হবে সমগ্র পৃথিবীতে। সমগ্র মানবসমাজই একটা পরিবারে পরিণত হবে। যে মনুষ্য পরিবারের পরিচালনার স্বাভাবিক নীতি হবে: ‘প্রত্যেকের নিকট থেকে তার ক্ষমতানুযায়ী এবং প্রত্যেককে তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী’। বঙ্গবন্ধু নিজেও সাম্যের কথা বলেছিলেন। সুদূর চীন ভ্রমণও করেছিলেন। তাঁর চিন্তার প্রতিফলন আমরা তাঁর তৈরি সংবিধানেও দেখেছি। আজকের করোনা কিন্তু প্রকারান্তরে সেই সাম্যের শিক্ষাই দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ‘প্রত্যেকের নিকট থেকে তার ক্ষমতামতো গ্রহণ এবং প্রত্যেককে তার প্রয়োজনমতো প্রদান’। যেটি দার্শনিক অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম বলেছেন, ‘From each according to his capacity, to according to his necessity’ এই সমতার দর্শনটাই আজকের আলোচনার বিষয় খুব ক্ষুদ্র পরিসরে।


পয়লা বৈশাখ ১৪২৭ চলে গেছে। সবাইকে বৈশাখের শুভেচ্ছা। দিনটা কারও কাছে আনন্দের ছিল না। অন্য বছর যে আনন্দের সঙ্গে বরণ করা হয়, এবার সেটা অনুপস্থিত ছিল। কেন অনুপস্থিত, সেটা বোধ হয় নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। সারা বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ বা নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মানুষ আজ বেশি অসহায়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সময় এসেছিল কি না, আমার জানা নেই। বাংলাদেশের মানুষ আজ অবরুদ্ধ। আজ তাদের মনেও বাজছে বিষণ্নতার সুর। বর্ষবরণে ছিল না কোনো আয়োজন। সবাই আমরা গৃহবন্দী। এর থেকে কঠিন সময় আর হতে পারে না। আপনি আপনার সন্তানদের হাতে তুলে দিতে পারেননি পয়লা বৈশাখের নতুন কোনো পোশাক। নতুন কোনো খাবার। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বলব, বৈশ্বিক সংকটে নিমজ্জিত সবাই। এমন দিনটি নিশ্চয়ই কেউ আশা করেনি। বিশাল পৃথিবীর রাজা-বাদশা, জমিদার, প্রজাকুল—এমন সংকট সবাই একসঙ্গে মোকাবিলা করছে। এমনটির নজির নেই বিশ্বের কোথাও। নভেল করোনার সাম্য নিয়ে আমার ভাবনাটা একটু ভিন্ন প্রকৃতির।


আমি আশাবাদী মানুষ। আশা নিয়ে বলতে পারি, একদিন এই অন্ধকার থাকবে না। এই অমানিশার কালো অন্ধকার কেটে যাবে। আসবে সোনালি সকাল। আমরা আবার হাসব। আমরা আবার দিনের সূর্য, রাতের অন্ধকার দেখব। আবার আমরা সবাই এক হব। একে অপরের হাতে হাত মিলাব। নতুন প্রতিষেধকও আবিষ্কার হবে। মানুষ আবার আশ্রয় খুঁজে পাবে। ভরসা পাবে। জীবনের প্রতি আস্থা পাবে। কিন্তু ভেতর থেকে ঝরে যাচ্ছে কিছু প্রাণ। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এমনকি আপনি আমিও হয়তো কেউ নিরাপদ নেই। আর আমরা যারা বেঁচে আছি অবশ্য সচেতন হব। করোনার জন্য নির্দেশিত পন্থা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য হলেও মেনে চলব। এমন পয়লা বৈশাখ যেন আর কখনো পালন করতে না হয়। যেখানে আছেন সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সেটাই কাম্য। মহামিলনের সাম্যের পয়লা বৈশাখ পালন করব, সেটাই প্রত্যাশা।


বলছিলাম আমার করোনা ভাবনাটা একটু অন্য রকম। করোনা যে বার্তাটি দিয়ে যাচ্ছে সেটি অনুধাবনের সময় এসেছে। একটি ভাইরাস কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তার ফল ভোগ করছে পৃথিবীর মানুষ। আমার চিন্তার জায়গা—
১.

কোথায়, কেন এবং কীভাবে পৃথিবীতে ভাইরাসটি ছড়াল?

২.

করোনা কি মেসেজ বা বার্তা দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীতে। 


এক নম্বর প্রশ্নে উত্তর হয়তো কাগজে-কলমে পাওয়া যাবে। সবাই জানি চীনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসের বিস্তার লাভ করে। এর বিস্তারের মধ্যে অন্য কোনো বিষয় বা রাজনীতি আছে কি না, এগুলো পৃথিবীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তো সময় এটি খতিয়ে দেখবে। এ জায়গাটা ভাবার অনেক মানুষ আছে।

দুই নম্বর প্রশ্নটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। বিষয়টি সমাজতাত্ত্বিক বা সামাজিকভাবে ভাবা যেতে পারে। প্রথমত, আমরা পরিবেশকে নষ্ট করে ফেলছি। আজ আমি আমরা সবাই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছি। ইচ্ছেমতো গাছপালা কেটে ফেলছি। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছি। অপরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলছি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ করছি। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন করছি। এগুলো পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে, যার প্রভাব বহুদিন ধরে চলতে থাকবে। এটি যে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সেটি কিন্তু বলা যায়। আর পৃথিবী নামের গ্রহের ওপর সরাসরি প্রভাব রয়েছে, সেটিও অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সাম্যের পৃথিবী তৈরিতে এটি একটা বড় অন্তরায়।

আপনি একদিনে একটা কাজ করেন। ভালো কাজ করলে এর একরকম ফল। মন্দ কাজের অন্য রকম ফল। সুতরাং প্রকৃতির ক্ষতিকর কোনো কিছু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মঙ্গল হবে না। সেদিকটা সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। আজ সব মানুষ একইভাবে দিনাতিপাত করছে। কী রাজা আর পথের শ্রমিক। কী মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত। কী ধনী-গরিব। সবাই যেন একটা জায়গায় এক। সবাই যেন অসহায় মানুষ। আর মানুষে মানুষে যে ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়, সে রকম একটা বার্তা আমরা পাচ্ছি। যে কেউ যেকোনো সময় এই মহামারি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি। সুতরাং এই জায়গায় কিন্তু কোনো শ্রেণি নেই। কোনো ভেদাভেদ নেই। নেই কোনো পার্থক্য। নেই ধর্ম-বর্ণের বাছ-বিচার। নেই কোনো দ্বিধাবিভক্তি। নেই কোনো দ্বন্দ্ব। সবাই যেন এক। সবাই যেন সৃষ্টিকর্তার সন্তান। অদৃশ্য শক্তির দ্বারা সবাই যেন চালিত হই। সময় হলে তিনি তাঁর কাজ করে থাকেন। সেখানেও কোনো বাছ-বিচার নেই। তাঁর শাসনও একরক্ষিক।

যেমন কর্ম তেমন ফল। সুন্দর পৃথিবীর জন্য চাই শান্তি। আর এ শান্তি আসতে পারে আমাদের কর্মের মধ্যে দিয়ে। এই কর্মটা শুরু করুন আপনার পরিবার দিয়ে। শুরু করা যাক আমার পরিবার দিয়ে। কারণ, সাম্যের মূল পরিবারে ও সমাজে গ্রোথিত।

সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কেন এই মানুষে মানুষে এত রেষারেষি। কেন এত হিংসা ? কেন নেই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ? কেন এত অহমিকা? কেন এত অহংকার? কেন এত অতৃপ্তি? মানুষ ভেবে দেখতে পারে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কতটা সম্পদ প্রয়োজন। আগে আকাঙ্ক্ষাটা কমান। চাহিদা কমান। লক্ষ্য ঠিক করুন। কী প্রয়োজন? কাজ করুন। প্রতিনিয়ত আপনি ছুটছেন। কোথায় ছুটছেন জানেন না। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর যেন আপনার ছোটার কোনো শেষ নেই। শেষমেশ কি হচ্ছে। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে আপনার ঘুমটা ভালো হচ্ছে না। আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। আপনি লক্ষ্যহীন। আপনি কি সুস্থ? আপনার মনের অবস্থা কী? আপনি কি পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। এ বিষয়গুলো কিন্তু চলে আসে। আপনার অনেক অর্থ আছে। অনেক সহায় সম্পত্তি আছে। আপনি যে সুখী, এটি কিন্তু বলতে পারছেন না। বাইরের মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা দেখায়, শ্রদ্ধা করে না। আপনাকে ভালোবাসার ভান করছে, ভালোবাসছে না। ভয় পাওয়ার ভান করে, ভয় পায় না। আপনার অফিসে আপনি অনেক শক্তিমান মানুষ। কেন এ পরিচয়গুলো প্রয়োজন হয়। ধরুন, আপনি শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক বা অন্য কোনো পেশাজীবী গোষ্ঠীর মানুষ। বা আপনি সাধারণ একজন মানুষ। আপনার অফিসের কাজ কী? নিজ দায়িত্ব পালন করা। সঠিক কাজ সঠিক সময়ে করা। সেটি আপনি সঠিক সময়ে করছেন তো? তৈরি করুন নিজের অফিসে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি, যেটি সামাজিক সাম্য তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

ধরুন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমাদের কাজ নিজ দায়িত্ব পালন করা সঠিকভাবে। ছাত্র পড়ানো। সঠিক সময়ে ক্লাসে যাওয়া। খাতাপত্রের মূল্যায়ন করা প্রভৃতি। পাশাপাশি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নতুন নতুন গবেষণা করা। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। এটা যদি সঠিকভাবে করা হয়, তাহলে তো আমার বাড়তি ক্ষমতার দরকার নেই। তাহলে আমার তো কাউকে বাড়তি কুর্নিশ করার দরকার নেই। তবে হ্যাঁ, গুরুজনকে শ্রদ্ধা, অনুজকে স্নেহ, এগুলো তো আমাদের পারিবারিক শিক্ষার অংশ। এগুলো না থাকলে তো আপনি মানবিক গুণাবলির জায়গায় পিছিয়ে থাকছেন। তাহলে ক্রান্তিকালেও আপনাকে কেউ মনে রাখবে না, তা যে পেশার মানুষ হই না কেন। সবাই যদি এই বোধটা কাজ করাই, যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বাড়তি ক্ষমতা প্রতিপত্তির দরকার আছে বলে মনে করি না। নিজের পেশাগত দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করা দরকার। নিজের কাছে শুদ্ধ থাকা, নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকা, নিজের কাজের কাছে দায়বদ্ধ থাকাটা জরুরি। অসীম শক্তি। অসীম সম্ভাবনার শক্তি আপনার আছে। শুধু নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখুন। বিবেকেরে ন্যায্য দায় অনুভব করুন আর সেভাবে পরিচালনা করুন। তাহলে সবাই আপনাকে ভালোবাসবে, শ্রদ্ধা করবে। কপটতা ত্যাগ করুন। ভেতর আর বাহির এক করলেই ভেতরটা সুন্দর হয়ে যায়। এর মধ্যে আর কোনো আবর্জনা জমতে পারে না। তাই আজ বেশি দরকার হৃদয়ের শিক্ষার। এই শিক্ষা পেলে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভাবতে অবাক লাগে, আজকের করোনা আমাদের কী শিক্ষা দিল বা দিচ্ছে। সাম্যের শিক্ষা দিল। পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে জানলাম, মানুষ করোনায় মারা গেলে তাঁর পাশে আপনজনও থাকতে পারছে না। এর অবশ্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। আমি ওদিকে যাব না। আমি সামাজিক দিকের কথা বলব। ভাবা যায়, পৃথিবীতে আমরা কত অসহায় হয়ে যাচ্ছি। মৃত্যুর পর এটুকু আশা থাকে, আপনজন তার আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করে থাকে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সামাজিক কাজকর্মাদি করে থাকে। একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রদান করে থাকে। আজ সে কাজটুকুও করতে পারছে না। কোথায় যেন ভয় কাজ করছে। আমি নিরাপদ তো? আবার কেউ আক্রান্ত হলেও তার ধারেকাছেও কেউ যেতে পারছে না। সেখানেও কোথায় যেন বাধা। এটি কিন্তু বিত্তবান, ধনী, গরিবের সবার জন্য সমান। তাহলে কিসের অহংকার। কিসের ক্ষমতা। কিসের দম্ভ। কিসের বড়াই। কিসের লড়াই। আসুন একে অপরকে ভালোবাসি। শ্রদ্ধা করি। নিজের অহংবোধটাকে দূরে সরিয়ে রাখি। নিজের জীবনকে ভালোবাসি। নিজের সত্তাকে ভালোবাসি। অপরের সুখে-দুখে এগিয়ে আসি। করোনায় আক্রান্ত মানুষের জন্য প্রার্থনা করি। সাধারণ নিম্নবিত্তের মানুষের পাশে দাঁড়াই। তাঁদের নিজের সক্ষমতা অনুসারে সাহায্য করি। লোক দেখানোর জন্য নয়। ভেতর থেকে। হৃদয় দিয়ে। পাশের মানুষটাকে ক্ষমা করি। তবে ক্ষমাটি যেন যৌক্তিক হয়। সেটিও বারবার নয়।
বলেছিলাম আমি আশাবাদী মানুষ। আপনিও আশা রাখুন। এ অন্ধকার থাকবে না। আগামীর সকাল সুন্দর হবে। আগামীর সূর্য সুন্দর হবে। কোনো অন্ধকার সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে আমরা যেন করোনার শিক্ষাকে গ্রহণ করি। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি। নিজেকে আমরা পরাক্রমশীল ভাবব না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা, মমত্ববোধের শিক্ষা গ্রহণ করি। আমরা মানবিক হয়ে উঠি। আমরা সাম্যের জয়গান গাই। সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করি। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখি। জয় হোক মানবতার। জয় হোক করোনার। জয় হোক পয়লা বৈশাখ ১৪২৭।

‘one must keep dreaming at various phases of life, and then work hard to realize those dreams. If we do so, then success is imminent…Dreams are not those that we see in our sleep; they should be the ones that never let us sleep.’ দার্শনিক ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের উক্তিটিই সত্য হোক। প্রতিটি মানুষ সত্য ও ন্যায়ের স্বপ্ন দেখুক। কঠোর পরিশ্রম করুক জীবনের প্রতিটি ক্ষণে। সফলতা আসবেই। ঘুম কেটে যাবে স্বপ্নের কাজের মধ্যে দিয়ে। আজকের ‘করোনা’ অন্ধকার কেটে যাবেই। প্রতিষ্ঠা হবে জীবনের প্রতিটা স্তরে সাম্য ও সুন্দরের। প্রত্যেক মানুষ তার ক্ষমতানুযায়ী গ্রহণ এবং প্রয়োজনমতো প্রদান করবে। এবারের বৈশাখে করোনার সাম্যের শিক্ষা গ্রহণ করি।

*লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন, খুলনা