স্বজনদের পাশে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তনরা

পুরান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল ৯৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছে ১৫০টি অসহায় পরিবারের। ছবি: সংগৃহীত
পুরান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল ৯৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছে ১৫০টি অসহায় পরিবারের। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ঐতিহ্যবাহী, স্বনামধন্য ও ঢাকার সবচেয়ে পুরান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকার প্রাক্তন ছাত্ররা দাঁড়িয়েছে অবরুদ্ধ মানবতার পাশে। স্কুলটির ’৯৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছে ১৫০টি অসহায় পরিবারের সহায়তায়।

করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে আজ বৃহস্পতবিার দুপুরে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার স্কুলটির প্রাঙ্গণে বিতরণ করা হয় এই সহায়তা। আর সকালে ৫০টি পরিবারকে উপহার বিতরণ করে স্কুলটির ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

’৯৬ ব্যাচের পক্ষ থেকে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, দেশে চলমান এই সংকটে সরকারি-বেসরকারিভাবে সাহায্য করা হচ্ছে অসহায় মানুষদের। কিন্তু তা অপ্রতুল। তাই আমরা যে যার জায়গা থেকে সাধ্যমতো যদি চেষ্টা করি, তাহলে দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এখানে তারাও আমাদের স্বজন। আমরা আমাদের স্বজনদের পাশে আছি।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের স্কুল ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত অবিভক্ত বাংলার প্রথম সরকারি স্কুল। স্কুলের কৃতী ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাথ সাহা, অধ্যাপক কবির চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হকের মতো অনেকে। দেশের অনেক ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছেন আমাদের প্রাক্তন ছাত্ররা। বর্তমান করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতেও আমরা এগিয়ে এসেছি আমাদেরই এই স্বজনদের সহায়তায়। আমাদের স্কুলের ২০০৭ ব্যাচ প্রথমে এ উদ্যোগ নেয়, এরপর ২০১৫ ব্যাচ, ২০১০ ব্যাচ ও ১৯৯৬ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, সামনে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আরও বৃহৎ পরিসরে মানুষদের পাশে দাঁড়াব।

হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছেন, যারা এখনো নিশ্চুপ। কিন্তু আমরা সবাই যদি সাধ্যমতো দুস্থ মানুষের সহায়তায় একটু এগিয়ে আসি, তাহলে এই জাতির দুর্যোগটি আমরা মোকাবিলা করতে পারব।

দেশের এ পরিস্থিতিতে মে মাসের শুরু থেকেই দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য প্রাক্তন কলেজিয়েটিয়ানরা একত্র হয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।