যশোর শাহীন ফোরাম ২০০৭-২০০৯-এর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

করোনার এই দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি দুর্গত মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি অনেক স্বেচ্ছাসেবী ও সংগঠন। সাধ্যমতো সবাই সবার জায়গা থেকে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে অসহায় মানুষের কাছে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসহায় জীবন যাপন করছে মধ্যবিত্ত পরিবার। যশোর শহরে তাদেরই খুঁজে খুঁজে রমজান ও ঈদ উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ‘যশোর শাহীন ফোরাম ২০০৭-২০০৯ (জেএসএফ-০৭০৯)’–এর সদস্যরা। তারা সবাই বিএএফ শাহীন কলেজ যশোরের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী। 

১৫ মে প্রথম দিনে যশোর শহরের বেশ কিছু পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়। পরিবারগুলোর মধ্যে ছিল কিছুসংখ্যক হ্যান্ডবল খেলোয়াড়, সৃষ্টিশীল মানুষ, কিছুসংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মী। খেলোয়াড়দের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার পুরো কাজটা সমন্বয় করেন ফারহানা ইয়াসমিন বিনা, তিনি যশোর রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও জাতীয় হ্যান্ডবল দলের সাবেক খেলোয়াড়। সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাছে উপহার পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেন শামিমা ইয়াসমিন শম্পা, সহসাধারণ সম্পাদক, যশোর সাহিত্য পরিষদ।

পরবর্তী সময়ে কয়েক ধাপে আরও বেশ কিছু পরিবারকে ওই উপহারসামগ্রী ও প্রয়োজনে নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উদ্যোক্তাদের একজন আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া বলেন, ‘আসলে কখনো জানতেও পারতাম না, শহরের প্রাণকেন্দ্রে দোতলা নিজস্ব একটা বাড়ি থাকার পরেও মানুষ অচল হয়ে গেলে কতটা অসহায় জীবন যাপন করে। বাইরেটা দেখে বোঝার কোনো উপায়ই নেই ভেতরে কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে দিনানিপাত করছে মানুষগুলো।’

বিএএফ শাহীন কলেজ যশোর এর এসএসসি ২০০৭ ও এইচএসসি ২০০৯ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের সংগঠন যশোর ‘শাহীন ফোরাম ২০০৭-২০০৯ (জেএসএফ-০৭০৯)’ আর এই সংগঠনের ফেসবুক গ্রুপটি থেকেই তারা সবাই মিলে সামাজিক কাজ করছেন যা তারা ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে চান। এই ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা প্রায় সবাই সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সবাই এগিয়ে এসেছেন। বিজ্ঞপ্তি