তোমার পরিবেশে আজ পাখিরা নেই

সকালের নির্মল রোদে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম একটু। বাসা থেকে দুই পা ফেলতেই ক্যাম্পাস। দিঘির স্বচ্ছ জল আর ভবনগুলোর আকাশে হাতছানি দিচ্ছে মায়াভরা এক প্রকৃতি। কিন্তি আমি যেন একটু আবেগি হয়ে পড়ি। ভাবনায় ডুবে যাই, এ ক্যাম্পাস, তুমি কত সুন্দর! আজ পরিবেশ দিবস।

পরিবেশ দিবসে তুমি খুব সেজে আছ প্রকৃতির রঙিন আলপনায়। তোমার পাখিদের আশায় তুমি প্রতীক্ষার প্রহর গুনছ। কিন্তু তুমি কি জানো, আজও যে তোমার এ রঙিন ক্যানভাসে কারও আসার নিয়ম নেই। তুমি হয়তো বলছ, পাখিরা বড় নিষ্ঠুর! কিন্তু না, ওরা নিষ্ঠুর নয়। তোমার কাছেই আসতে চায়, তোমার কাছেই ফিরতে চায় বারবার। কেন পারছে না, জানো?

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সবদিকে বিচরণ করছে। কেউ কাউকে ছুঁতে পারে না। তুমি ১৪ হাজার পাখির প্রিয় হলেও কেউ আজ তোমার কাছে আসতে পারছে না। তোমার কাছে না আসতে পেরে ছটফট করছে পাখিগুলোর প্রাণ। আড়ালে হয়তো কেউ চোখের জলও ফেলছে, দেখ। খোঁজ নাও তোমার প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির কাছেই তুমি সব খবর পাবে।

তোমার সবুজ ঘাসে কত রকম পোকামাকড় খেলছে, অথচ তোমার পাখিরা নেই। জানি, তুমিও ভালো নেই বেশ। আজ কত দিন হয়ে গেল। বলতে গেলে আড়াই মাস। তোমার পাম অয়েল, ঝাউ আর নানান প্রজাতির গাছগুলো বড্ড মিস করছে তোমার পাখিগুলো।

তোমার ডানায় এখন আর বসে বসে তারা গল্প, আড্ডায় মেতে উঠতে পারছে। তোমার ডানায় বসেই তো তারা গল্প, আড্ডায় মেতে উঠত। বন্ধুবান্ধব, সহপাঠীদের ভিড়েই কোলাহলমুখর ছিল তোমাতে। আজ কেবলই নিস্তব্ধতা। পাখিদের কলকাকলি নেই আজ তোমার মধ্যে।

এ পৃথিবী একদিন শান্ত হবে। তবে কবে, তা ঠিক বলা বড় দায়। তবে খুব অচিরেই৷ আর তোমার বুকে ডানা মেলে উড়ে আসবে হাজারো পাখি। তুমি সে প্রতীক্ষায় থাকো। প্রত্যাশায় রইলাম, আমিও।

*শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ