তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দী হাজারো পরিবার

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

আজ শনিবার বেলা তিনটায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটর, যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তার পানি, যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে আজ সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে পানি। সকাল নয়টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১৩ সেন্টিমিটার ও বেলা ৩টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, পানিবন্দী ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদের পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।