সাজেক: দুই দিন পাহাড়ে আটকে ছিল সময়ের চাকা

ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কত কিছুই করেন। ছবি: সংগৃহীত
ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কত কিছুই করেন। ছবি: সংগৃহীত

ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে তিনটা। বাসের হার্ড টার্নে ছিটকে পড়ে ঘুম ঘুম চোখ জানান দিল পাহাড় আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। আমরা তখন খাগড়াছড়ির পথে। গন্তব্য সাজেক ভ্যালি। বিভাগের ইতিহাসের প্রথম ট্যুর, ঐতিহাসিক বললে কী ভুল হবে?

সকাল তখন। বাস পৌঁছেছে দীঘিনালা। নাশতার পালা শেষ করে সাজেকের উদ্দেশে রওনার পালা। এখান থেকে আর বাস যাবে না, বরং অপেক্ষা করছে আর একটি বিস্ময়, ‘চাঁদের গাড়ি’ (স্থানীয় ব্যক্তিরা চান্দের গাড়ি বলে)। শুরু হলো চাঁদের গাড়ির যাত্রা। কয়েকটা বিষয় বলে রাখা ভালো। দীঘিনালা থেকে চাঁদের গাড়ি করে যেতে হবে ১০ নম্বর বাঘাইঘাট পুলিশ ও সেনা ক্যাম্প। সেখান থেকে ভ্রমণরত সদস্যদের তথ্য দিয়ে সাজেক যাওয়ার মূল অনুমতি নিতে হবে। একে সেনা এসকর্ট বলা হয়।

সেনাদের পক্ষ থেকে গাড়িবহর দ্বারা পর্যটকদের গাড়িগুলোকে নিরাপত্তার সঙ্গে সাজেক পৌঁছে দেওয়া হয়। দিনের দুটি নির্দিষ্ট সময় (সকাল ১০টা ৩০ এবং বিকেল ৩টা ৩০) ছাড়া সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাজেক যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই আমরা সকাল নয়টার মধ্যেই যাত্রা শুরু করলাম। একটু বাদেই বুঝে গেলাম কেন অন্য বড় যানগুলো এখানে প্রবেশ করতে পারে না। সরু রাস্তাগুলো বেয়ে বেয়ে চলে গেছে পাহাড়ের গা বেঁয়ে, খাড়া ঢাল বেয়ে নেমে গেছে নিচে, কখনো উঠে গেছে ৬০°উঁচুতে।

মোট পাঁচটা গাড়িতে করে বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা আছেন। গাড়ির ভেতর থেকে আপনাকে বাইরে টেনে আনবে এই দৃশ্য, পাহাড়ের সারি, মাঝেমধ্যে আদিবাসীদের কুড়ে, পাশে হাজার ফুটের খাদ। পাহাড়ের বুক চিরে ওপরে উঠতে থাকে গাড়ি। এরই সঙ্গে মেঘ আমাদের ঘিরে ফেলে। চারদিকে পাহাড় এবং মেঘের এ কেমন ভালোবাসা? সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বড় আর্টিস্ট আমার কাছে। আমি আর বসে থাকতে পারলাম না। ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম চাঁদের গাড়ির পেছনে! হঠাৎই ঝড় শুরু হয়। মেঘ, পাহাড়, চাঁদের গাড়ির অ্যাডভেঞ্চারে বৃষ্টি রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। নিচের সব পাহাড়, ঘরবাড়ি এত ক্ষুদ্র মনে হয়, যেন চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখছি! এ জন্যই কি এটা চাঁদের গাড়ি?

সাজেকে যাওয়ার বাহন চান্দের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
সাজেকে যাওয়ার বাহন চান্দের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদের গাড়ি থেকে নেমেই চোখের সামনে আবিষ্কার করলাম সাজেক।

মোট তিনটা গ্রুপে ভাগ হয়ে আমরা তিনটা রিসোর্টে উঠলাম। বাঁশ, বেত, টিনের সংযোগে কি সুন্দর করেই একেকটা রংবেরঙের রিসোর্ট বানিয়েছে এরা! আমরা যেটায় ছিলাম, সেটার নাম মেঘালয়। নামের সঙ্গে সত্যিই রিসোর্টটার মিল আছে। ঘরে ঢুকতেই দেখলাম বিশাল তৈলচিত্র দেয়ালে টাঙানো। মেঘ আর পাহাড় আকাশ দখল করেছে এ রকম। হাত দিতে গিয়ে দেখি সেই তৈলচিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার চোখে। বুঝলাম, যাকে আমি তৈলচিত্র ভাবছি, তা একটা বিশাল জানালা! আর সেই জানালার কাচ দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

দুপুরের খাবারের পর চোখ আটকে গেল একটি চায়ের স্টলে, যার অবস্থান আমাদের রিসোর্টটা ঘেঁষেই। চায়ের মান যদিও আমি লিখাটা লিখতে লিখতে যে চা খাচ্ছি, সেই মানের না, তবু সেই আবহাওয়া, সেই জগৎটায় চা–পাতা দিয়ে গরম পানি ফুটিয়ে দিলেও অমৃত লাগবে। সাজেকে আমাদের বিভাগের চেয়ারপারসন ম্যাম, অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আড্ডাখানার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল সেই জায়গাটা। একটু বাদেই চান্দের গাড়িতে করে সবাই রওনা হলাম কংলাক পাহাড়ের উদ্দেশে। গাড়ি থেকে নেমেই দেখলাম ওখানকার বাচ্চারা চিকন বাঁশ ছোট ছোট করে কেটে বিক্রি করছে। কারণ, এবার ট্র্যাকিংয়ের পালা, যেখানে এই ১০ টাকা করে লাঠির মূল্য বোঝা যাবে। ১ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় এই পাহাড় প্রথমবার যারা ট্র্যাকিং করবে, তাদের জন্য অবশ্যই অ্যাডভেঞ্চার। পাহাড় কেটে কেটে সরু হাঁটার পথ, সোজা উঠে গেছে উঁচুতে। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভঙ্গুর মাটি, পাথর, যেখানে একবার পা ফসকে যাওয়া মানে আক্কেলগুড়ুম। পাহাড়ে ওঠার শেষ অংশটুকু বেশি কষ্টের, একদম খাড়া সিঁড়ি, কোনো সাপোর্ট নেই, আছে শুধু সেই ১০ টাকার লাঠি, সেটায় ভর করেই কংলাক জয় করলাম আমরা। কংলাকের চূড়ায় উঠে সব ভুলে চোখ মেলে তাকালে হয়তো একবারের জন্যও মনে হতে পারে এই দৃশ্য দেখার জন্য কংলাক কেন এভারেস্ট জয় করতেও বাধবে না। কংলাক থেকে নেমেই আমরা চাঁদের গাড়িতে করে হেলিপ্যাডে পৌঁছাই সূর্যাস্ত দেখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু পথিমধ্যেই সুর্যিমামা অস্ত গেছেন।

ঢাবির যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাহাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
ঢাবির যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাহাড়ে। ছবি: সংগৃহীত

সাজেকে রাত নামল। ডিনারে ছিল এখানকার ট্র্যাডিশনাল খাবার ব্যাম্বো চিকেন। এটি বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশের ভেতরে চিকেন এবং বিভিন্ন মসলা ঢুকিয়ে বানানো হয়, কোনো বাড়তি পানি ছাড়া।

আবার চায়ের আড্ডা জমে ওঠে। সেদিনের শেষের শুরুটা ওখানেই হয়। ক্যাম্প ফায়ার ছাড়া কোনো ট্যুর সম্পন্ন হয় না। আমাদের বেলাতে ব্যতিক্রম হওয়াটাই বরং ‘ব্যতিক্রম’ হতো! সেই রাতে সেই আগুনের চারপাশে কখনো রবি ঠাকুর, কখনো আর্টসেল, কখনো লালন, কখনো অনুপম কিংবা কখনো তাহসান এসে হাজির হচ্ছিল গানের মধ্য দিয়ে। আমার মনে হচ্ছিল এই রাত যেন এখানে থেমে থাকে! সাজেকের রাত তখন গভীর!

পরদিন ভোর পাঁচটা। রাতের অন্ধকার তখন ঘুচে যেতে শুরু করেছে। যেভাবে ড্রয়িং করার সময় পেনসিলে এঁকে এরপর রং করা শুরু হয় তেমনি মনে হচ্ছে এই ভোরবেলা চারপাশটা কেউ রং করা শুরু করল। মিষ্টি বাতাসকে সঙ্গে নিয়ে রংবেরঙের রিসোর্ট দেখতে দেখতে উঠে যাই হেলিপ্যাডের ওপর। সূর্য ওঠার আগে পুরো হেলিপ্যাডের আকাশ ছেয়ে গেছে লাল আভায়। পাহাড়, মেঘের ওপর এমন লাল আভা চমৎকার সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছিল, মনে হচ্ছে যেন কোনো দক্ষ শিল্পীর তুলির আঁচড়। হেলিপ্যাড থেকে রাস্তায় নেমে দেখি লাল টকটকে সূর্য আকাশ ফুঁড়ে হেলিপ্যাডের ওপর এসে উপস্থিত!

সকালের নাশতা শেষে আমাদের তাড়াহুড়ো লেগে গেল। তখনো বোঝা যায়নি অ্যাডভেঞ্চারের পূর্বাভাস! ঠান্ডা চুপচাপ শুভ্র সাজেক সকাল বুঝতেই দেয়নি সেই দিনের বাকিটা আরও কত কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছিল, যা কংলাকের রোমাঞ্চকতাকে টেক্কা দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিল।

সাজেকের সৌন্দর্য এমন যে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার জন্য যাওয়ার খুব সময় মনে হয়। ছবি: লেখক
সাজেকের সৌন্দর্য এমন যে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার জন্য যাওয়ার খুব সময় মনে হয়। ছবি: লেখক

আলুটিলার অ্যাডভেঞ্চার
চাঁদের গাড়ি দ্রুত যাচ্ছে। ক্রমেই সাজেক ছেড়ে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। চাঁদের গাড়ি থামল খাগড়াছড়ি গিয়ে। লাঞ্চের পালা এবার। বিরাট বড় এক মেন্যু শেষে জানলাম, গন্তব্য এবার আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র! ট্যুরে কংলাক পাহাড়ের অ্যাডভেঞ্চারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরুটা এখানেই হলো। যে কয়টা গাড়ি আছে, প্রায় সবগুলোতেই ছাদে উঠে পড়েছে সবাই। শহরের আনাচকানাচে দেখতে দেখতে হঠাৎই আমরা ওপরে উঠতে শুরু করি। সাজেকে যাওয়ার পথটার অ্যাডভেঞ্চার মলিন হয়ে গেছিল আলুটিলায় ওঠার অ্যাডভেঞ্চারের কাছে। গাড়ির ওপর থেকে নিচে চোখ দিতেই দেখি পাহাড়জুড়ে সবুজ কার্পেট বিছানো। গাড়ি বাঁক ঘুরে গন্তব্যে ছুটছে। শক্ত করে গাড়ির চিকন রেলিং চেপে ধরে চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছি আমাদের অ্যাডভেঞ্চারিয়াস ট্র্যাভেলিংয়ের সফলতা। আমরা এসে গেছি আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের ওয়াচ টাওয়ারে। সেখান থেকে পুরো খাগড়াছড়িটাকে এক নজরে দেখে নেওয়া গেল। গ্রুপ ছবি তোলার পর সবাই সেখান থেকে নেমে চাঁদের গাড়িতে উঠে পড়লাম।

কয়েক মিনিট পরই আমরা আলুটিলার আর একটা জায়গায় এসে পৌঁছালাম। সিঁড়ি দিয়ে নামছি আমরা। নামছি এবং নামছি। সিঁড়ি আর শেষ হয় না। সিঁড়ি ভেঙে আমরা এক জায়গায় এসে দাঁড়ালাম। সামনে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা জায়গা। হ্যাঁ, বলছিলাম আলুটিলা গুহার কথা। স্থানীয় ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন যে এই গুহায় একসময় নাকি দেবতার আবাস ছিল। সাধারণত মশাল জ্বালিয়ে গুহাতে ঢুকতে হয়। কোনো কারণে মশাল না থাকায় আমরা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ঢুকে পড়লাম গুহায়। আপনি যদি মনে করেন গুহার ভেতরে পিচঢালা পথ থাকবে এবং আপনি আরামে সেখান হেঁটে যাবেন, তবে সেটা ভুল ভাবছেন। পানি কাদার উপস্থিতি সেখানে! উঁচুনিচু পাথরে ছেয়ে রয়েছে পুরো পথ। প্রায় ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই গুহার ভেতর একটা ঠান্ডা আবহাওয়া শরীর ছুঁয়ে যায়। না, শীতকালের মতো ঠান্ডা নয় কিংবা আপনার বদ্ধ রুমের এসির ঠান্ডাও নয়। এই শীতলতা একমাত্র ঝুমবৃষ্টিতে ভেজার সময়ই টের পাওয়া। এমন সময় হালকা সূর্যের আলো খুঁজে পাই। বুঝতে পারি অ্যাডভেঞ্চার তার শেষ সীমানায় এসে পড়েছে। গুহার ভেতর থেকে বের হয়ে স্বস্তির একটা নিশ্বাস ফেললাম।

ক্যাম্প ফায়ার। ছবি: লেখক
ক্যাম্প ফায়ার। ছবি: লেখক

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক ছিল আমাদের বিকেলের ঠিকানা, যেখানে ঝুলন্ত ব্রিজ আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। আমরা ৭৪ জন একের পর এক সেই অভ্যর্থনা গ্রহণ করে পা ফেললাম ঝুলন্ত ব্রিজে। ব্রিজ অধ্যায় শেষ করে চলে যাই খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কের ভেতরে। পার্কে যা যা থাকা দরকার, এখানেও তা–ই রয়েছে। পার্কের বিস্তর বর্ণনা দিয়ে তাই লাভ নেই। লাল–কালো রাস্তা ধরে পার্কটা চক্কর দিয়ে নিজেদের চাঁদের গাড়ির কাছে পৌঁছে গেলাম সবাই। এরপর, আবারও খাগড়াছড়ি সদরে সেই আগের জায়গায় এসে উপস্থিত হলাম।

বাস চলে আসে আমাদের। রাতের খাবার খেয়ে বাসে উঠে যাই আমরা। বাস ছেড়ে দিলে অজানা এক কষ্ট আমার মনে জায়গা করে নেয়। এত হইহুল্লোড় করে এলাম আমাদের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রথম ট্যুরে। কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেছে! বাস দ্রুতগতিতে দুপাশে পাহাড় ছেড়ে ছুটে চলছে। আমিও একনিমেষেই চোখ বন্ধ করে লিখে ফেলি মেঘের ছোঁয়ায় ৪৮ ঘণ্টার সারমর্ম। চাঁদের গাড়ি, সাজেক, রিসোর্ট, আমার জীবন্ত তৈলচিত্র, টি স্টল, কংলাক পাহাড়ের অ্যাডভেঞ্চার, ব্যাম্বো চিকেন, সাজেকের রাতে ক্যাম্প ফায়ার, গানের জলসা, হেলিপ্যাডে সূর্যোদয়, খাগড়াছড়ি ফেরা, ছোট ছোট শপ, চাঁদের গাড়ির ছাদে উঠে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, আলুটিলা গুহা অ্যাডভেঞ্চার, ঝুলন্ত ব্রিজ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক! এই পাহাড়ি অঞ্চলের পরতে পরতে রয়েছিল চমক। রয়েছিল অসীম সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত। এমন রহস্যময়ী সৌন্দর্যের সাক্ষাতের সন্ধান সৃষ্টিকর্তা আগে কখনো দেননি আমাকে। আমার চোখ দুটো তৃপ্ত। এর আগে এত তৃপ্তি আমার রেটিনাদ্বয়ের হয়নি। মনেই হচ্ছিল না আমি মাত্র দুদিনের সফর করলাম। বারবার মনে হচ্ছে এক সপ্তাহ ছিলাম। পাহাড়ে আটকে গিয়েছিল সময়ের চাকা। ৪৮ ঘণ্টা তো নিছক হিসাবমাত্র।

রাস্তায় গাড়ি, বাসের আওয়াজে ঘোর কাটে আমার। রাত তিনটা বাজে। চলে এসেছি ধুলার শহরে। পাহাড়ের দেশ থেকে চলে এসেছি জ্যামের শহরে। এই শহর কি জানে আমি মেঘ ছুঁয়ে এসেছি?

*শিক্ষার্থী এমএসএস, প্রথম সেমিস্টার, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]