বুটেক্সে অনিরুদ্ধের অনলাইন ইভেন্ট সম্পন্ন

বুটেক্সের ৪৫-তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ বা অনিরুদ্ধ পরিবারের আয়োজনে চার দিনব্যাপী অনলাইন ইভেন্ট ‘অনিরুদ্ধ প্রেজেন্টস ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক
বুটেক্সের ৪৫-তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ বা অনিরুদ্ধ পরিবারের আয়োজনে চার দিনব্যাপী অনলাইন ইভেন্ট ‘অনিরুদ্ধ প্রেজেন্টস ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৫-তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ বা অনিরুদ্ধ পরিবারের আয়োজনে চার দিনব্যাপী অনলাইন ইভেন্ট ‘অনিরুদ্ধ প্রেজেন্টস ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো আয়োজনটি ছিল ৪৬-তম নবীন ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য। আয়োজনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল নবীনদের প্রতিভা জাগ্রত করা, তাদের মেধাকে বিকশিত করা এবং সবার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া । তাই আয়োজনটির স্লোগান বা মোটো ছিল তারুণ্যের উচ্ছ্বাস (Jubilancy of vernal)।

সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা থাকে বুটেক্স ক্যাম্পাস। লকডাউনের কিছুদিন আগে হয়েছিল আইস-ব্রেকিং ২.০। অনুষ্ঠানে জমকালো আয়োজনে সেজেছিল পুরো ক্যাম্পাস। কিন্তু লকডাউনের কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ক্যাম্পাস বন্ধ। হচ্ছে না কোনো অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা বা কনসার্ট। অন্যদিকে বাসায় বসে একঘেয়েমি তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ৪৬-তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো প্রতিযোগিতার মুখ দেখতে পারেনি। বাসায় বসে কীভাবে অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়, তা করে দেখাল অনিরুদ্ধ পরিবার।

পাবলিক স্পিকিং অংশগ্রহণকারী একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
পাবলিক স্পিকিং অংশগ্রহণকারী একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

কেউ গান ভালো গাইতে পারেন, কেউ আবৃত্তি, কেউ আঁকআঁকি বা কেউ অন্য কোনো দিকে খুব ভালো পারেন। তাঁদের পারা বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরার জন্য ট্যালেন্ট হান্টের পুরো আয়োজনটি ১৫টি সেগমেন্ট নিয়ে সাজানো ছিল। এগুলো হলো ড্রয়িং-ইলাস্ট্রেশন, কুইজ, কবিতা আবৃত্তি, সাহিত্য ও কলাম রাইটিং, ফটোগ্রাফি কনটেস্ট, মুভি ও সিরিজ ক্যারেকটার রিভিউ, পাবলিক স্পিকিং, টিচিং, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আলটিমেট মিমি কমপিটিশন, পাবজি, লুডু, অভিনয় ও গান। প্রতিটি সেগমেন্টে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে।

অনুষ্ঠানের সব পোস্টার। ছবি: লেখক
অনুষ্ঠানের সব পোস্টার। ছবি: লেখক

আয়োজনটি ২০ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ছিল। আর এটি শুরু হয়েছিল ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খোলার মাধ্যমে। প্রতি সেগমেন্টের জন্য আকর্ষণীয় পোস্টার আয়োজনকে আরও দৃষ্টিনন্দন করেছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় সেগমেন্ট ছিল পাবলিক স্পিকিং, যা গুগল-মিটিংয়ে সম্পন্ন করা হয়। দর্শক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে আয়োজনকে উৎসবমুখর করেন। আর গান, নাচ ও অভিনয় সেগমেন্টে অংশগ্রহণকারীরা স্মার্টফোনে ভিডিও করে তা বিচারকদের কাছে পাঠান ।

২৩ জুন বিকেল ৪টায় গুগল-মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি সেগমেন্টের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের জন্য রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সার্টিফিকেট, যা লকডাউন-উত্তর সময়ে ক্যাম্পাস খুললে তাঁদের মাঝে বিতরণ করা হবে ।

পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ছবি: লেখক
পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ছবি: লেখক

প্রতিযোগিতায় প্রস্তুতি, কনটেন্ট ভিডিও অনলাইনে সাবমিশন বা লাইভ সেশনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা কাটে।

*শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়