আয়বৈষম্য কমানো কি সম্ভব হবে

টাকা। প্রতীকী ছবি
টাকা। প্রতীকী ছবি

১.
বিখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েল ১৯৪৫ সালে ‘দ্য অ্যানিমেল ফার্ম’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। উপন্যাসটির কাহিনি অনেকটা এই রকম। ‘দ্য ম্যানর ফার্ম’ নামের একটি ফার্মে একদল পশু মনুষ্য শ্রেণি দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মনুষ্য শ্রেণির বিরুদ্ধে বিপ্লবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে বিপ্লবে জয়ী হয়ে পশুরা ফার্মের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তারা ফার্মটির নাম বদলে ‘দ্য অ্যানিমেল ফার্ম’ রাখে। সবাই মিলে পশুবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য ৭টি নীতিমালা রচনা করে, যার মাধ্যমে তারা ঘোষণা করে সব পশু সমান।


কিন্তু কিছুদিন পর নেতৃত্বদানকারী পশুদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এর ফলে ক্ষমতার পালাবদলে নেতৃত্ব বদলের পর ক্ষমতা একসময় এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। ফার্মের অন্য পশুদের একসময় বোঝানো হয়, নেতৃত্বদানকারী পশুরা অন্য সাধারণ পশুদের তুলনায় অধিকতর উন্নত শ্রেণির। একসময় তারা সব পশু সমান, এই নীতিমালাও বদলে ফেলে। তাদের নতুন নীতি হয় ‘সব পশু সমান কিন্তু তাদের মধ্যেও উন্নত শ্রেণি আছে, যারা আলাদাভাবে সমান’।

১৯৪৫ সালে লেখা এই উপন্যাসটির নীতিমালাকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা প্রয়োগ করতে পারি এভাবে, ‘একটি দেশের সব নাগরিকই সমান, কিন্তু ধনীরা আলাদাভাবে আরও সমান’।

বিষয়টি একটু খোলাসা করেই বলি। আমরা দেশ নিয়ে ইদানীং অনেক আশাবাদী কথা শুনি। যেমন সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইসের রিপোর্ট (২০১৫) অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ। ওই সময়কালে মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়েছে ২৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বার্ষিক মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১ হাজার ৬৯ মার্কিন ডলার থেকে ২ হাজার ২০১ মার্কিন ডলার।

ক্রেডিট সুইসের চেয়ে আরও চমৎকার খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলথ এক্স ইনস্টিটিউট নামের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে তাদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বে ধনী তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশ সবার ওপরে। টপকে গেছে চীন, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশকে। তাদের মতে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অতি ধনী বেড়েছে বার্ষিক ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে।

এখানে বলে রাখা ভালো, তারা অতি ধনী বলতে তাঁদের বুঝিয়েছে, যাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫০ কোটি টাকা।

একই সংস্থা ২০১৯ সালে আরেকটি রিপোর্ট বের করেছে ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ে। এতেও বাংলাদেশ এগিয়ে, বিশ্বে তৃতীয়। জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ নাইজেরিয়া কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত আর আরেক আফ্রিকান দেশ মিসরের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। সংস্থাটি বলছে, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে ধনী মানুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়বে। তাদের এই তালিকায় রেখেছে, ১০ লাখ থেকে ৩ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিককে (সাড়ে ৮ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকা)।

খুবই আশার কথা এগুলো। কিন্তু নিরাশার কথাও আছে সেই সঙ্গে। এই জনবহুল দেশটিতে তাদের এই অতি ধনীর লিস্টে আছেন মাত্র ২৫৫ জন বাংলাদেশি। তাদের রিপোর্ট আরও বলছে, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে আশ্চর্য রকম উন্নতি করেছে। প্রবৃদ্ধির হিসাবে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধির ফলে সব মানুষ লাভবান হয়নি, গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া। অর্থাৎ সম্পদের পরিমাণ বাড়লেও আসল ফায়দা পাচ্ছে এ রকম মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।

বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য। ব্যুরোর মতে, বাংলাদেশের সবচেয়ে গরিব ৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মোট আয়ের পরিমাণ মোট জাতীয় আয়ের মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১০ সালে এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। অপর দিকে সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ মানুষের মোট আয় দেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ। ২০১০ সালে এই হার ছিল ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরে তাদের আয় বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ৫ শতাংশ মানুষের আয় তো বাড়েইনি, উল্টো বরং কমেছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরিব হচ্ছে আরও গরিব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আরও বলছে, দেশের সবচেয়ে গরিব ২০ লাখ পরিবারের প্রতি মাসে গড় আয় মাত্র ৭৪৬ টাকা। আর সবচেয়ে ধনী ২০ লাখ পরিবারের গড় আয় ৮৯ হাজার টাকা। তাদের মতে, দেশের মানুষের যত আয়, তার ৩৮ শতাংশই হলো সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের। আর সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশের হাতে মাত্র ১ শতাংশের মতো আয়।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

১৯১২ সালে ইতালিয়ান সমাজবিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ করারাডো গিনি সমাজে সম্পদ বণ্টন পরিমাপের একটি উপায় তৈরি করেছিলেন, যা গিনি সূচক বা গিনি সহগ হিসেবে পরিচিত। এর মান ০ থেকে ১ পর্যন্ত। শূন্য বা এর কাছাকাছি মান হলে তাকে সাম্য বা নিম্ন আয়বৈষম্যের দেশ ধরা হয়। আর গিনি সহগ শূন্য দশমিক ৫ পেরিয়ে গেলে তাকে উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ বলা হয়। অর্থনীতি শাস্ত্রে আয়ের বৈষম্য পরিমাপ করা হয় এই গিনি সূচক বা সহগের মাধ্যমে। আমাদের দেশে সর্বশেষ গিনি সহগ পরিমাপ করা হয় ২০১৬ সালে। সর্বশেষ হিসাবে বাংলাদেশের গিনি সহগের মান শূন্য দশমিক ৪৮৩। অর্থাৎ দশমিক ৫-এর খুবই কাছে। তার মানে বাংলাদেশও একটি উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ। আর এই আয়বৈষম্যের কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ জীবনমান উন্নত করার সুযোগ থেকে পিছিয়ে থাকছে গরিব পরিবারগুলো।

২.
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আয়বৈষম্য পুরোপুরি দূর করা অসম্ভব; এটি চিন্তা করাও বোকামি হবে। আর প্রকৃতপক্ষে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বা অন্য কোনো মতবাদ আসলেই আয়বৈষম্য দূর করতে পারবে, সেটাও এখনই খুব জোর দিয়ে বলা যাবে না। এই আয়বৈষম্য তাই কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়, সেটি হচ্ছে এখন আসল কথা। আর এই আয়বৈষম্য কমানোর একটি উপায় হচ্ছে সঠিকভাবে কর আদায়।

মানুষের আয় যত বেশি হবে, তার করও তত বেশি দেওয়ার কথা। কিন্তু বিষয়টি সে রকম নয় এখনো আমাদের দেশে। দেশে ধনবান মানুষেরা কর ফাঁকি দেন। দেশে কোটি টাকা ব্যাংকে আছে, এ রকম হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশে ১ কোটি বা তার চেয়ে বেশি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৮৩৯। তার মানে, এক বছরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। অথচ স্বাধীনতার পরে কয়েক বছর পর্যন্ত কোটি টাকার বেশি এমন হিসাবের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭টি। তাই এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে কোটিপতি। এর সঙ্গে প্রত্যাশিত সুশাসনের অভাবে বাড়ছে কর ফাঁকিও।

উচ্চবিত্তের সঙ্গে আমাদের মধ্যবিত্তেরও একটি অংশ কর ফাঁকি দিচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে আয়কর দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান আছেন ৪ কোটি, কিন্তু আয়কর দিচ্ছেন খুবই কমসংখ্যক—মাত্র ১৬ লাখের বেশি। তার মানে কর দেওয়ার যোগ্য ৩ কোটি ৮৩ লাখের বেশি কর দিচ্ছেন না।

দুদকের মতে, দেশে ১ শতাংশের কম মানুষ আয়কর দেন। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর আদায় হয় মাত্র ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। কর ফাঁকি ও মওকুফ বন্ধ হলে কর-জিডিপি অনুপাত ৫ শতাংশ বাড়বে, যা টাকার অঙ্কে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগও (সিপিডি) একই কথা বলছে। তাদের হিসাবে, করযোগ্য হওয়ার পরও ৬৮ শতাংশ মানুষ কর দেন না। আর ৩২ শতাংশ মানুষ কর দেন নামমাত্র। তাই বাকি ৬৮ শতাংশ মানুষকে করের আওতায় আনা সম্ভব হলে কর আদায়ের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যাবে। তখন কর-জিডিপি আয়ও বাড়বে।

আমাদের যে করনীতি আছে তা দেশে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ আমরা জানি যে করনীতির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে বৈষম্য কমিয়ে আনা। অথচ ভুল করনীতির কারণে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ধনীদের করের আওতায় আনতে। আমাদের রাজস্ব আইন এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়, যাতে কর ফাঁকি দেওয়া সহজ হয়। এখানে একদিকে করপোরেশনের হাতে বিপুল টাকা জড়ো হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তার মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কর ফাঁকি দেওয়ারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে এক অতি ধনবান শ্রেণির সৃষ্টি হচ্ছে।

তা ছাড়া, রাজনৈতিক কারণেও ধনীদের ওপর কর আরোপ না করার একটি প্রবণতা কাজ করে ক্ষমতাসীন দলগুলোর মাঝে। আমরা উপযোগী করারোপ না করে প্রণোদনা দেওয়ার নামে কার্যত ধনীদের করের পরিমাণ কমাতে বেশি আগ্রহী।

বাজেট
বাজেট

ধনী বা পেশাজীবী মানুষের কর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ বা ক্ষমতা কোনোটিই নেই। ভ্যাট নামের পরোক্ষ করের মাধ্যমে ঠিকই তাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের সংগৃহীত মোট রাজস্বের ৭০ শতাংশই আসে পরোক্ষ কর অর্থাৎ ভ্যাট থেকে, আর বাকি মাত্র ৩০ শতাংশ আসে প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর থেকে। কারণ, এই পরোক্ষ কর আরোপ করা হয় সব মানুষের ওপর, তার আয় কত তা বিবেচনা না করেই। তাই স্বভাবতই যাঁরা গরিব, তাঁরা তাঁদের ক্ষুদ্র আয়ের বৃহত্তর অংশ ব্যয় করেন এ ধরনের পরোক্ষ করের পেছনে। অপর দিকে ধনীদের জন্য যেটি কি না তাঁদের আয়ের একটি ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। এতে বৈষম্য আরও বাড়ছে।

আর এই আয়বৈষম্য কমানোর উপায় হিসেবে অনেকেই প্রগতিশীল করের কথা বলেছেন। প্রগতিশীল কর হলো একটি কর, যা করদাতার সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে যিনি নিম্ন আয় উপার্জনকারী তাঁর ওপর যে উচ্চ আয় উপার্জনকারী তাঁর তুলনায় কম হারে কর আরোপ করে। অর্থাৎ এই কর ব্যবস্থা একজন উচ্চ আয় উপার্জনকারীর কাছ থেকে একজন নিম্ন আয় উপার্জনকারীর তুলনায় একটি বড় শতাংশ আদায় করে।

তাই, বৈষম্য কমানোর একটি উপায় হচ্ছে ধনীদের আয়ের ওপর অনুক্রমিক হারে করারোপ করা। আর আদায়কৃত টাকা ব্যয় করতে হবে জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক খাতে।

৩.
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এক লেখায় পড়েছিলাম, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘দেশের যে অতি ক্ষুদ্র অংশে বুদ্ধি-বিদ্যা-ধন-মান, সেই শতকরা ৫ পরিমাণ লোকের সঙ্গে ৯৫ পরিমাণ লোকের ব্যবধান মহাসমুদ্রের ব্যবধানের চেয়ে বেশি । আমরা এক দেশে আছি, অথচ আমাদের এক দেশ নয়।’

রবীন্দ্রনাথ আরও লিখেছেন, ‘ইংরেজিতে যাকে বলে এক্সপ্লয়টেশন, অর্থাৎ শোষণ নীতি, বর্তমান সভ্যতার নীতিই তাই । ন্যূনাংশিক বৃহদাংশিককে শোষণ করে বড় হতে চায়; এতে ক্ষুদ্র-বিশিষ্টের স্টম্ফীতি ঘটে, বৃহৎ-সাধারণের পোষণ ঘটে না।’ বহু আগে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথাগুলো যেন বর্তমান সময়ের কথাই বলছে ।

কবি আল মাহমুদের একটি কবিতার লাইন হচ্ছে ‘আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন’। কবির মতো আসুন আমরাও বলি এই পৃথিবীতে আমাদের লক্ষ্য হোক সুষম সামাজিক উন্নয়ন। সম্পদের সুষম বণ্টনে ক্ষমতাধর ও বিত্তবানরা হবেন আন্তরিক। আর তবেই না স্বাদ পাওয়া যাবে আসল স্বাধীনতার আর মানব মহত্ত্বের বিশালতার।

*লেখক: বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। [email protected]