সিজেডএস-'৯৮ ফ্রেন্ডসের আর্ট কম্পিটিশনের পুরস্কার পেল শিশুরা

মায়ের হাত থেকে সম্মাননা নিচ্ছে শিশুশিল্পী। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
মায়ের হাত থেকে সম্মাননা নিচ্ছে শিশুশিল্পী। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

OUR CHILDREN ARE OUR CZS98 FAMILY স্লোগানকে সামনে রেখে CZS–'98 ব্যাচ ফ্রেন্ডস ১৪ থেকে ১৮ জুন একটি অনলাইন চিলড্রেন আর্ট কম্পিটিশনের আয়োজন করেছিল। বিভাগ অনুসারে নাম, চিত্রকর্মসহ ২৬ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুক গ্রুপে পর্যায়ক্রমে ফল প্রকাশ করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ জুলাই সোমবার পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করল সিজেডএস–’৯৮ ব্যাচ ফ্রেন্ডস (CZS98 BATCH FRIENDS)।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিশুশিল্পীদের বাবা ও মায়েরা। শিশুশিল্পীরা এই পুরস্কার, সার্টিফিকেটসহ গিফটগুলো গ্রহণ করে তাদের মা–বাবার হাত থেকে। অংশগ্রহণ করা সব প্রতিযোগীকে সার্টিফিকেট ও গিফট প্রদান করা হয়।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যে কুমিল্লা সদর জেলায় ৪৩ জন শিশুশিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে একটি চিত্রকলা প্রদর্শনী করা হবে। ইতিমধ্যে তার আনুষ্ঠানিক সব কার্যক্রম শুরু করেছে সিজেডএস–’৯৮ ব্যাচ ফ্রেন্ডস।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যে ঘর বসে থাকতে থাকতে আমাদের শিশুদের জীবন হয়ে উঠছে বিভীষিকাময়। ঘর থেকে বের হয়ে খেলাধুলা করতে ও কোথাও ঘুরতে বেড়াতে পারছে না, তাদের জীবন হয়ে উঠেছে একঘেয়ে। তাই সৃজনশীল উদীয়মান এই শিশুদের কথা চিন্তা করেই সিজেডএস–’৯৮ ব্যাচ ফ্রেন্ডস অনলাইনভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।

জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান শিশির ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত
জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান শিশির ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মোট ৪৩ জন প্রতিযোগী। প্রত্যেক শিশুশিল্পীই তাদের নিজস্ব চিন্তাচেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে তাদের চিত্রকর্মে। ৪৩ জন শিশুশিল্পীর চিত্রকর্মের মধ্যে মোট তিন বিভাগ থেকে ১০ জন শিশুশিল্পীকে এবং এই ১০ শিশুশিল্পীর মধ্যে একজনকে ‘গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পদবিতে নির্বাচন করেন বাংলাদেশের জাতীয় চিত্রশিল্পীরা।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম
গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড—খ বিভাগ থেকে অর্জন করে হাফসা হোসাইন।

ক বিভাগে ‘উন্মুক্ত’ বিষয়ে যুগ্মভাবে প্রথম হয় ওয়াসী নাজমুল ভূঁইয়া ফিহা ও আইফনিন লায়লা শিজা। দ্বিতীয় মিফতাহুর রহমান ও তৃতীয় মো. আরিয়ান হায়দার।

খ বিভাগে গ্রামবাংলা ও প্রকৃতি বিষয়ে প্রথম হাফসা হোসাইন, দ্বিতীয় মায়িদা আলম খান ও তৃতীয় নাবীহা তাহসীন।

গ বিভাগে করোনা ও তার পরিস্থিতি বিষয়ে প্রথম শাফিনাজ শাহরিন মানিতা, ২য় আনিসা তাসনিম ইমাম, তৃতীয় সুমাইয়া নাহার মৌ।

জুরি বোর্ডে ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান শিশির ভট্টাচার্য্য, বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান দেবাশীষ পাল, চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিত্রশিল্পী কামাল উদ্দিন।

পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশুশিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশুশিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিযোগী ৪৩ জন হলো:
২ থেকে ৬ বছর বয়সীরা হলো:
১. ওয়াসী নাজমুল ভূঁইয়া ফিহা, ২. তাহমিদ হাসান ইমাম, ৩. আনুশি জে তাজওয়ার, ৪. মো. নুজাইফ হায়দার মানাফ, ৫. মো. আরিয়ান হায়দার, ৬. মেহরিশ নাজাফ, ৭. মিফতাহুর রহমান, ৮. মো. নুরাইজ হায়দার মিশরাক, ৯. মো. জাবেদ আহমেদ, ১০. মো. সাজ্জাদুল আরিফিন, ১১. আমিনা বিনতে আশাদ, ১২. আইফনিন লায়লা শিজা।

মা-বাবার সঙ্গে বিজয়ী শিশুশিল্পী। ছবি: সংগৃহীত
মা-বাবার সঙ্গে বিজয়ী শিশুশিল্পী। ছবি: সংগৃহীত

৭ থেকে ১০ বছর বয়সীরা হলো:
১. ওয়াফী বিনতে নাজমুল, ২. আবু হুরাইরাহ, ৩. ওয়াজীহা ফোরকান জিহা, ৪. মো. রেজওয়ানুল হক সাইফ, ৫. উম্মে খায়রুল আদিবা, ৬. আবদুল্লাহ আল ওয়াসির, ৭. জান্নাতুল হাফসা নাহার মুন, ৮. নাজিয়া খন্দকার রাহা, ৯. তাহিরা খন্দকার হাফসা, ১০. তাজ আল দ্বীন চৌধুরী, ১১. জান্নাতুল সুমাইয়া নাহার মৌ, ১২. শারাফ হাসান আদিয়ান, ১৩. রশ্মিয়া চৌধুরী, ১৪. মো. জাওয়াদ আজমাঈন, ১৫. জান্নাতুল তালহা নাহার মাইমুনা, ১৬. আরিয়া মুসসারাত, ১৭. মাইদা আলম খান, ১৮. বেদত্রয়ী ত্রিধারা দেবনাথ, ১৯. নুসাইবা নাইম, ২০. হাফসা হোসাইন, ২১. নাবীহা তাহসীন, ২২. ফারিসা সিদ্দিকা, ২৩. ফৌজিয়া আক্তার।

১১ থেকে ১৫ বয়সীরা হলো:
১. শাফিনাজ শাহরিন মানিতা, ২. জুলিয়া আফরিন, ৩. রওজাতুন মিম নওমি, ৪. জান্নাতুল সুমাইয়া নাহার মৌ, ৫. আনিসা তাসনিম ইমাম, ৬. ফারসিদ রহমান, ৭. খালিদ হোসাইন, ৮. হাসিবুল মুনতাসির। বিজ্ঞপ্তি