মানিকগঞ্জে মুজিব বর্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জামির্তা সত্য গোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ। ছবি: সংগৃহীত
জামির্তা সত্য গোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ। ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯-১০ শতাংশ, যেখানে একটি দেশের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। এই বনভূমি বাড়াতে সামাজিক বনায়ন রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উঠান, বনভূমি ও রাস্তার দুই পাশের গাছ সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি দেশে জলবায়ু রক্ষায় রাখবে ভূমিকা।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের প্রতিটি ক্ষেত্রের মতো একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নের বীজ বপন করে দিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় প্রকৃতির যে ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনি দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। গণভবন, বঙ্গভবন ছাড়াও ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনেক গাছ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বহন করে। উপকূলীয় অঞ্চলে যে সবুজ বেষ্টনী আমরা দেখি, তা–ও শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। মোটকথা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় তিনি দেশের মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

২০২০ সালে জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী। এ বছরে সরকারি–বেসরকারিভাবে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতির জনকের সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অভিপ্রায়ে এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলার রাজিদুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবীরা। রাজিদুল ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র। মানিকগঞ্জ জেলায় তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েক হাজার গাছের চারা রোপণ করবেন। বর্ষা মৌসুমের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে রাজিদুলের মুজিব বর্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বিভিন্ন কাঠ ও ফলদ বৃক্ষ রোপণ করছেন মানিকগঞ্জ জেলা শহর ও শহরের বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও রাস্তার দুই পাশে। রাজিদুল ইসলামের আহ্বানে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সাড়া দিয়ে আশপাশের রাস্তার পাশে বৃক্ষ রোপণ করছেন।

ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের পাশে মুজিব বর্ষ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের অংশবিশেষ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের পাশে মুজিব বর্ষ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের অংশবিশেষ। ছবি: সংগৃহীত

*শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।