রৌমারীতে জিঞ্জিরাম নদীভাঙন রোধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ের হুমকির মুখে পড়া বসতবাড়ি ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ের হুমকির মুখে পড়া বসতবাড়ি ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো।

‘ত্রাণ চাই না ব্লক চাই’, ‘রাস্তা গ্রাম রক্ষা চাই’, ‘নদীভাঙন রোধ চাই’, ‘নিরাপদে বাঁচতে চাই’, ‘আমরাও দেশের জনগণ, রোধ করো নদীভাঙন’, ‘নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই, দিতে হবে’—এমন নানা স্লোগান সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ের হুমকির মুখে পড়া বসতবাড়ি ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো।

গ্রাম ও বসতভিটা ভাঙন রক্ষার্থে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গতকাল সোমবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে ছয়টি গ্রামের বাসিন্দাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া দেড় শতাধিক পরিবারের নারী, পুরুষ ও ছোট শিশুরা অংশগ্রহণ করে। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা খামারপাড়া, নামাপাড়া, চাষাপাড়া, খেয়ারচর ও উত্তর আলগারচর গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষের উদ্যোগে বকবান্ধায় হুমকির মুখে পড়া চুলিয়ারচর-রাজিবপুর বালিয়ামারি নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী সুরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহি-উদ্দিন মহির, বকবান্ধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আক্কাস আলী, জামে মসজিদের ইমাম এরশাদুল, যাদুরচর ইউপি সদস্য আবু সাঈদ ও সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, খোরশেদ, এমদাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জিঞ্জিরামের পূর্ব উত্তর পাড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাত জায়গা বাড়িঘরসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাঁচটি গ্রামসহ বকবান্ধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরপর দুবার নদীগর্ভে চলে গেছে, একটি কবরস্থান একটি মসজিদ ও দেড় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া একটি চারতলা ভবন মসজিদ, ঈদগাহ ময়দান, কবরস্থান, ক্লিনিকসহ বকবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যাপক হুমকির মুখে রয়েছে। তাই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছে নদী খননসহ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো দাবি জানান তাঁরা।