প্রান্তিক নারী খামারিদের পশু নিয়ে অনলাইন হাট

নিজেদের লালন-পালন করা পশু কোরবানির হাটে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা। ছবি: সংগৃহীত
নিজেদের লালন-পালন করা পশু কোরবানির হাটে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের লালন-পালন করা পশু কোরবানির হাটে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখেন অনেক খামারি। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারির মধ্যে কোরবানির ঈদ। এ দুঃসময়ে বিভিন্ন বড় শহরে হাট না বসার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদ আসন্ন হলেও অন্যান্য বছরের মতো ব্যাপারীদের আনাগোনাও নেই। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের হাজারো খামারির সময় কাটছে দুশ্চিন্তায়।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে লালন করা হাজারো পশু শেষ পর্যন্ত না নিজেদেরই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, সে ভাবনায় দিন কাটাচ্ছিলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সামাজিক ব্যবসা সর্বজয়ার অংশীদার ৭৫ জন নারী খামারিও। এই খামারগুলোর পাঁচ শতাধিক পশু আদৌ বিক্রি হবে কি না, লাভের টাকা তুলতে পারবেন কি না, এসব দুশ্চিন্তাই তাঁদের মনে হতাশা।

খামারিদের এমন দুশ্চিন্তা নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছে অর্গানিক খাবারের ই-কমার্স ‘আমার ফুড ডট কম’ http://amarfoods.com/ । তারা সাদুল্লাপুরের সর্বজয়ার খামারিদের লালন করা পশু তাদের ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তা–ই নয়, পরিপূর্ণ কোরবানি–প্রক্রিয়া সুবিধাও চালু করেছে ই-কমার্স সাইটটি। অর্থাৎ, গরু ক্রয় করা থেকে শুরু করে কেউ চাইলে স্লটারিং বা কসাইখানার সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবেন।

খামারে ছাগল। ছবি: সংগৃহীত
খামারে ছাগল। ছবি: সংগৃহীত

এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমার ফুডের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থা ওয়াটারমার্ক এমসিএলের মার্কেটিং প্রধান মিফতাহ আরিফ বলেন, ‘আমরা চেয়েছি দরিদ্র খামারিরা যাতে এ দুঃসময়ে অর্থনৈতিক লোকসানের মুখোমুখি না হন। শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি ন্যূনতম প্রচারণা খরচে কীভাবে এই পশুগুলো বিক্রি করে দেওয়া যায় এবং খামারিদের অর্থনৈতিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।

অনলাইন গরুর হাট এখন প্রচলিত শব্দ। এতে গ্রাহকের সশরীর হাটে যাওয়ার যেমন প্রয়োজন পরছে না, আবার দেখেশুনে পশু কেনার সুবিধাও থাকছে। আমার ফুডস ই-কমার্স সাইটের মূল প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনী সংস্থা ওয়াটারমার্ক এমসিএলের সহযোগিতায় অল্প সময়ে অনলাইন গরুর হাটের ক্যাম্পেইন শুরু এবং বিক্রি প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে।

খামারে গরু। ছবি: সংগৃহীত
খামারে গরু। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের প্রান্তিক নারীদের সাবলম্বী করার একটি উদ্যোগ সর্বজয়া। আমার ফুড–সংশ্লিষ্টরা জানান, সর্বজয়া সারা বছর তাদের গ্রাহকদের দেশি গরুর মাংসের চাহিদা মেটায়। করোনার এ সময়ে তাদের ব্যবসায়িক লোকসান পুষিয়ে দিতে গ্রাহক এবং প্রান্তিক খামারিদের যোগাযোগ করিয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সর্বজয়ার খামারিদের প্রায় ৪৫০টি পশু অনলাইন হাটে বিক্রি হয়ে গেছে।