হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশ

অগ্রণী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সমাবেশের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশ।
অগ্রণী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সমাবেশের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশ।

অগ্রণী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সমাবেশের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশ। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্মরণে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন অগ্রণী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সমাবেশ ‘হিমুর হাতে নীল পদ্ম’ শিরোনামে ফেসবুক লাইভসহ ‘জুম’ অ্যাপে এই আড্ডার আয়োজন করে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে হুমায়ূন আহমেদের জীবনী, সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, নাটক নিয়ে আলোচনা। আলোচনার মাঝেমধ্যে হুমায়ূন আহমেদের লেখা কবিতা, গান আবৃত্তি ও পরিবেশনা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রসমূহের বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনাও করেন সাহিত্যপ্রেমী ব্যাংকাররা।

ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশে হিমুর হলুদ রঙের নান্দনিক পোশাকে যোগদান করেন সবাই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উপমহাব্যবস্থাপক ছড়াকার এম এ মজিদ তালুকদার, অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী নাজমুল হুদা রবিন। সংগীত পরিবেশনা করেন অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ক্লোজআপ ওয়ানখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফরহাদ মিল্টন এবং বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী মাফুজার রহমান। হুমায়ূন আহমেদের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন ত্রিলোক বাচিক পাঠশালার বাচিক শিল্পী এনাম আজিজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ বেতারের আবৃত্তিকার এ বি এস সুমন।

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে স্মৃতিচারণা মুগ্ধ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও নাট্যকার সাজ্জাদ খান। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আড্ডায় অংশ নেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত ২০ জনেরও বেশি কবি, লেখক, গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী, সংগঠক।

২০১৭ সালের ২৮ জুলাই সংগঠনটি নুহাশপল্লিতে একঝাঁক হিমুর ‘হুমায়ূন স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সে অনুষ্ঠানটির স্মৃতিচারণাও করা হয়। চলমান করোনা মহামারির সময়ে ভার্চ্যুয়াল হিমু সমাবেশ একটি অভিনব উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হয় দর্শক–শ্রোতাদের কাছে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় মহান সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মনোমুগ্ধকর আয়োজনটি শেষ হয় ঠিক যেন ছোটগল্পের মতো, শেষ হয়েও হলো না শেষ।