গণপরিবহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেন

গণপরিবহনগুলো মানছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: সংগৃহীত
গণপরিবহনগুলো মানছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: সংগৃহীত

দিন দিন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সংক্রমণ শুরুর প্রথম দিকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এতে জনজীবন পুরো বিধ্বস্ত হয়ে ওঠে, দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা অচল হয়ে পড়ে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুদিন পর সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হয়। করোনাকালীন ফাঁকা রাস্তায় আবার যানবাহনের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহনগুলোতে নিয়ম করে দেওয়া হয় দুজনের সিটে একজন করে বসবে। অর্থাৎ দুই সিট মিলে একজন বসবে। শুরুর দিকে গণপরিবহনগুলো এই নিয়ম যথাযথভাবে পালন করলেও এখন আর এ নিয়ম মানছে না, মানছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।

গণপরিবহনগুলো এখন আগের মতোই গাড়িভর্তি যাত্রী নিচ্ছে, দুই সিটে একজনের পরিবর্তে দুজন বসাচ্ছে, ঘেঁষে ঘেঁষে যাত্রী ভরছে। কিন্তু দ্বিগুণ ভাড়ার পরিমাণ তো কমেনি! এরা পাশাপাশি দুই সিটে একজনের পরিবর্তে দুজন বসিয়ে একজন থেকে দুই সিটের তথা ডবল ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে।

অথচ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার থেকে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালাতে হবে। দুই সিট মিলে একজন বসাতে হবে। কিন্তু এখন বেশির ভাগ গণপরিবহন কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। গণপরিবহনগুলোতে এখন নেই কোনো সচেতনতার বালাই। একজনের গা ঘেঁষে আরেকজন কি অদ্ভুতভাবে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে! অথচ নিয়ম ছিল গণপরিবহনে কোনো প্রকার গা ঘেঁষাঘেঁষি করা যাবে না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো আমাদের ফেনীতে গণপরিবহনগুলো মানছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। গণপরিবহনগুলো দেখলে এখন মনে হয়, একেকটা যেন করোনা ছড়ানোর কেন্দ্রস্থল।

আমাদের জীবিকার তাগিদে, জীবনের প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোতে হবে, গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। করোনাও থাকবে, আমাদের জীবন-জীবিকাও চলবে। করোনার সঙ্গে সংগ্রাম করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। আর এ গণপরিবহনে যদি নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, কীভাবে আমরা নিজেকে সুরক্ষিত রাখব? কীভাবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাব?

উল্লিখিত পরিস্থিতে গণপরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা অতি শিগগিরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন, গণপরিবহনগুলো যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানো হয়, সেটা নিশ্চিত করুন। কেননা ব্যক্তি সুরক্ষিত থাকলে, সুরক্ষিত থাকবে দেশ।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।