৬৯ বছর বয়সে ক্যাটওয়াকে...
নাম মায়ে মাস্ক। বয়স ৬৯ বছর। এই বয়সে মানুষ নাতি-পুতি নিয়ে সময় কাটান। ডুব দেন অলস অবসরে। কিন্তু মাস্ক আছেন মহা মাস্তিতে। তাঁর কাছে বুড়ো হাড় বলে কিছু নেই। আলো ঝলমলে ফ্যাশন শোয়ের রানওয়েতে চমক সৃষ্টি করেছেন তিনি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, মায়ে মাস্ক ব্যক্তিগত জীবনে একজন পুষ্টিবিদ। তাঁর আরেক পরিচয় তিনি কানাডার ধনকুবের ইলন মাস্কের মা। মডেলিংয়ের বিষয়ে মায়ে মাস্ক বলেন, ১৫ বছর বয়সে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় মডেলিং শুরু করেন। তবে তেমন সফলতা পাননি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি অনেক বেশি সুনাম কুড়িয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি ২০১৭ সালে যত কাজ করেছি, গত ৫০ বছরেও এত কাজ করিনি।’
এই বয়সে মায়ে মাস্ক নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন, এল কানাডা ও ভোগ কোরিয়ার প্রচ্ছদে ঠাঁই পেয়েছেন। মার্কিন প্রসাধন প্রতিষ্ঠান কভারগার্লের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও তিনি। ১০ নাতি-নাতনির দাদি মায়ে মাস্ক মনে করেন, তিনি চুল নিয়ে কিছু করেননি। চুলগুলো স্বাভাবিকভাবে পেকে সাদা হয়েছে। এটা সম্ভবত তাঁকে সফল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করছে। তবে এই বয়সে মডেল হিসেবে সফলতা ধরে রাখতে অন্যদের মতো তাঁকেও বেশ কষ্ট করতে হয়। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া করতে হয় মেপে, নইলে মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।
ষাটোর্ধ্ব মায়ে মাস্ক মডেল হিসেবে সফল হয়ে শুধু নিজের খ্যাতিই ছড়াননি, ফ্যাশন জগতের প্রচলিত অনেক ধারণাও পালটে দিয়েছেন। ফ্যাশন জগৎ মানেই তারুণ্য, সুন্দর মুখশ্রী আর ফিগারের জয়জয়কার। কিন্তু এর কোনোটিই খাটেনি মায়ে মাস্কের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি তিনি তাঁর বয়সী আরও অনেককে উদ্বুদ্ধ করেছেন প্রবীণ বয়সে ক্যাটওয়াক করতে।
এরই ফল দেখা গেল এবারের নিউইয়র্ক, প্যারিস, মিলান ও লন্ডনের ফ্যাশন শোগুলোতে। এসব ফ্যাশন শোতে পঞ্চাশ ও ষাটোর্ধ্ব অনেক নারী ক্যাটওয়াক করেছেন। হয়তো একদিন ফ্যাশন দুনিয়ার এত বছরের প্রথাগত সব নিয়ম ভাঙার প্রতিকৃত হিসেবে সবাই মায়ে মাস্কের নাম নেবে।