মার্কিন ভিসা পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য দিতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে গেলে আবেদনকারীদের পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত ব্যবহার করা ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মকাণ্ডের ইতিহাস দিতে হবে। আবেদনকারীদের কাছে এখন এসব চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। হুমকির সৃষ্টি করতে পারে—এমন ব্যক্তির প্রবেশ ঠেকাতে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার দেশটির ফেডারেল রেজিস্টারে এ-সংক্রান্ত একটি নথি পোস্ট করে। ওই নথি গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসায় যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান, ভিসা ফরমে তাঁদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৭ লাখ ১০ হাজার ইমিগ্রান্ট এবং ১ কোটি ৪০ লাখ নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা আবেদনকারী নতুন এই ভিসা ফরমের আওতায় আসবেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীদের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস এবং বিগত পাঁচ বছরে আবেদনকারীর ব্যবহার করা ফোন ও মোবাইল নম্বর জমা দিতে হবে।

নথিতে বলা হয়েছে, আবেদনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত আবেদনকারীকে তাঁর ব্যবহার করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ডের তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদনকারীকে শনাক্ত করবে—এমন একজনের নাম আবেদনকারীকে দিতে হবে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে পররাষ্ট্র দপ্তর এসব তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে দাপ্তরিক ও কূটনৈতিক ভিসাসহ আরও কয়েকটি ভিসায় আবেদনকারীদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানতে চাওয়া হবে না।