আটলান্টায় ২৭ জুলাই থেকে ৩২তম ফোবানা সম্মেলন

ফোবানা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য শেইলা জ্যাকসন ও সিনেটর টেড ক্রুজ। ছবি: অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
ফোবানা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য শেইলা জ্যাকসন ও সিনেটর টেড ক্রুজ। ছবি: অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ২৭ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ৩২তম ফোবানা সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ২৯ জুলাই।

উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বৃহৎ ফেডারেশন ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা)। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটনে, উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত এই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়। মূলত, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, একতা ও সহযোগিতার সেতুবন্ধ গড়ে তুলতে এবং স্বদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি লালনের উদ্দেশ্যে এই সংগঠনের জন্ম হয়েছিল। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগঠনটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রবাসের মাটিতে প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রবাসের আঙিনায় স্বদেশের গৌরবান্বিত ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করছে এই সংগঠন। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার ঐকান্তিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, গড়ে তুলছে এক সেতুবন্ধ। সংগঠনটি বিশ্বাস করে, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই বেঁচে থাকবে দেশের অস্তিত্ব, ইতিহাস ও ঐতিহ্য। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই স্রোতোধারা দিন দিন আরও ঐশ্বর্যমণ্ডিত হোক—এই প্রত্যাশায় বুক বেঁধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফোবানার নেতা-কর্মীরা। আজকের কর্মপ্রয়াসই আগামীর ভিত্তিভূমি, আমাদের অভিবাসী সমাজের পাথেয়।

প্রবাসী বাংলাদেশি আমেরিকানদের সবচেয়ে বর্ণিল আয়োজন এ ফোবানা সম্মেলন। আটলান্টায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলছে ফোবানা সফলের জোর প্রস্তুতি। আয়োজক সংগঠন ‘বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে প্রস্তুতি কাজ। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ফোবানা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে যোগ দিয়ে একে সার্থক করার জন্য উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান ও অনুরোধ জানিয়েছে ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক কমিটি এবং ফোবানা কেন্দ্রীয় কমিটি।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়েছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মূলধারার বেশ কয়েকজন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর। এ আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁরা।

সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি গড়িয়েছে অনেকটা সময়। আজ বলিষ্ঠ যৌবনে পদার্পণ করেছে ফোবানা। এই চলার পথে বৃহত্তর সামাজিক বলয়েও ফোবানা অভিবাসী বাংলাদেশিদের অস্তিত্বকে ঘোষণা করছে সগৌরবে। ফোবানার পথচলা সুদৃঢ় হোক, স্বদেশকে বুকে ধারণ করে মূলধারার সঙ্গে মিশে যাক আমাদের অভিবাসীরা এবং তরুণ প্রজন্ম।