বাতিলের দাবি সত্ত্বেও ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক সোমবার

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিক ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক বাতিলের দাবি জানানো সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী সোমবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। 

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা থাকার পরও এ বৈঠক হতে যাচ্ছে।

তবে গতকাল ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ১২ জন সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে ওই নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও প্রেসিডেন্ট পদে দলটির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবিরের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাকের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সংস্থাগুলোর কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অবৈধভাবে প্রবেশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দ্বাদশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা অভিযুক্ত হয়েছেন।

তাই বৈঠক বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ অনেক নেতা। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ১২ জনের বিরুদ্ধে সামরিক গোয়েন্দাগিরি বা হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই। একে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তারা। তবে তারা এ বৈঠক করতে আগ্রহী।

ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে একজন আলোচক হিসেবেই দেখছি। দুই দেশের সম্পর্ক এখন খুব খারাপ। সেই সম্পর্ককে ঠিক করার কাজ শুরু করতে হবে।’

ট্রাম্প বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সঙ্গে গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি অবশ্যই পুতিনের কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন। তবে ডেমোক্র্যাটদের উচ্চপদস্থ অনেকেই পুতিনের সঙ্গে এ বৈঠক বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। ডিএনসির চেয়ারম্যান টম পিরেজ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবশ্যই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা উচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু নন।

সিনেট ডেমোক্রেটিক নেতা চাক শুমার বলেন, রাশিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত আর কখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ বৈঠক করা উচিত হবে না। রিপাবলিকান সিনের জন ম্যাককেইন বলেন, পুতিনকে যতক্ষণ না জবাবদিহির মধ্যে আনা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ বৈঠক করা ঠিক হবে না।