যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত মাদকের কারণে ৭২ হাজার মৃত্যু

গত বছর মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে ৭২ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নতুন প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, যা আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। আর এই সংখ্যা এইচআইভি, সড়ক দুর্ঘটনা ও বন্দুকের গুলিতে নিহত ব্যক্তির সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।

মৃতের এ সংখ্যার বড় দুটি কারণ বের করেছেন বিশ্লেষকেরা। ব্যথানাশক হিসেবে অতিরিক্ত অপিয়য়েড ব্যবহার ও অন্যান্য মাদক গ্রহণের দিকে আমেরিকান লোকজন দিন দিন বেশি ঝুঁকছে। তবে সব জায়গার চিত্র এক নয়।

নিউ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় একসময় খুব ভয়ংকর মাদকের ছড়াছড়ি ছিল, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের পরিমাণ এখন কমছে। ম্যাসাচুসেটস, ভারমন্ট ও রোড আইল্যান্ড—প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতার ব্যাপক প্রচার থাকার পরও সেখানে মাদকাসক্ত নিরাময়ে চিকিৎসা বাড়ছে।

তবে দেশজুড়ে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রথম বছরে এ পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল। ২০১৭ সালে ট্রাম্প আফিম সমস্যাকে জাতীয় গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এবং এ সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে অঙ্গরাজ্যগুলো ১০০ কোটি ডলারের প্রকল্প ঘোষণা করে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্যামিলি অ্যান্ড কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ডান চিকারোনে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘জিকা ভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করার পর যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই তুলনায় মাদকদ্রব্যের মহামারি প্রতিরোধে পদক্ষেপ খুব ধীর।’

টেলিফোনে নেওয়া সরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ২১ লাখ আমেরিকান অপিয়য়েডের গ্রহণের কারণে অসুখে ভুগছে। কিন্তু এ সংখ্যা আরও বেশি। কারণ মাদকসেবী সবাই ফোন করে তথ্য দেয়নি। অনেকে সামাজিক লজ্জায় মুখ খোলেনি। তবে প্রকৃত সংখ্যা ৪০ লাখের মতো হতে পারে বলে মনে করছেন সিকারোন।

মধ্য-আটলান্টিক ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। ওহাইও, ইন্ডিয়ানা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে কয়েক বছর ধরে আফিম গ্রহণের কারণে মৃত্যুর হার বেশি ছিল, এখন সেই মৃত্যুর হার বেড়ে ১৭ শতাংশের বেশি দাঁড়িয়েছে। নিউজার্সিতে এ হার ২৭ শতাংশ বেড়েছে।