জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল ডি কোহেন হাটে নয়, একেবারে আদালতে গিয়ে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন। আদালতে তিনি স্বীকার করলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচার চলার সময় দুই নারীকে ট্রাম্পের নির্দেশে অর্থ দিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে এসব নারীর সম্পর্ক নিয়ে যাতে তাঁরা মুখ না খোলেন, সে জন্যই দেওয়া হয় ওই অর্থ।

মার্কিন দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোহেন আদালতের সামনে নির্বাচনী আর্থিক আইন ভঙ্গ করার কথা স্বীকার করেন। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে তিনি স্বীকার করেন, তিনি ওই দুই নারীকে অর্থ দিয়েছেন ‘কেন্দ্রের প্রার্থীর নির্দেশেই’। এর অর্থ হলো, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই অর্থ দিয়েছিলেন।

কোহেন বলেন, ‘আমি ম্যানহাটনেই ওই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলাম। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নৈতিকতা ও সরকারি সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক নরম্যান এইসেন টুইট করেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে এযাবৎকালের মধ্যে ট্রাম্প সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। না, আসলে শুধু প্রেসিডেন্টের সময়ে নয়, বলা যায়, সমগ্র জীবনের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে তাঁর।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থা নিছক বাড়িয়ে বলেননি এইসেন। কারণ, কোহেনের স্বীকারোক্তির খানিক আগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের সাবেক চেয়ারম্যান পল ম্যানফোর্টকে ব্যাংক ও কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। দুই আদালতে এভাবে ট্রাম্পের দুই আঘাত এল।

কোহেন কেন অর্থ দিয়েছিলেন?
এর আগে পর্নো ছবির অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েল বলেছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে কোহেন তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সংসর্গের বিষয়ে তিনি মুখ খুলবেন না।

এই নির্বাচনের দুই মাস আগে কোহেন ‘প্লেবয়’ সাময়িকীর মডেলে ক্যারেন ম্যাকডুগালকে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। এর উদ্দেশ্যেও ছিল ওই মুখ বন্ধ করা। ম্যাকডুগাল স্বীকার করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল।

এই দুই দফা ধাক্কার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

শুধু দুই নারীর মুখ বন্ধ করাই নয়, কোহেন কর ফাঁকি, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মিথ্যা তথ্য দেওয়া, অবৈধ অনুদানসহ আট ধরনের অভিযোগ স্বীকার করেন।