হালাল খাবারের অ্যাপস হাংরিফোরহালাল

নিউইয়র্কের কুইন্স কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দল হালাল খাবার খোঁজার অ্যাপস তৈরি করেছে। হাংরিফরহালাল (Hungry4Halal) নামের এই অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকায় হালাল খাবারের প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। গত ১৯ আগস্ট অ্যাপসটি চালু করা হয়। এক মাসের মধ্যেই অ্যাপসটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
অ্যাপসটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল হঠাৎ করেই। কুইন্স কলেজের অধ্যাপক জিনা কেটলির আন্তর্জাতিক রান্নার ক্লাসে পাঁচজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ক্লাসের ‘ইট অ্যান্ড টেইল’ সেশনের এক সময় অধ্যাপক জিনা কেটলি লক্ষ্য করলেন যে, তাঁর শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে হালাল খাবার নিয়ে কথা বলছে। বিষয়টি নিয়ে পরে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ আলাপচারিতা থেকেই হালাল খাবার খুঁজে পেতে সহায়ক একটি অ্যাপস তৈরির ধারণা মাথায় আসে।
অধ্যাপন জিনা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হালাল খাবার নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এ অ্যাপস তৈরির ধারণা প্রথম মাথায় আসে। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর জন্য জরুরি। এ অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হালাল খাদ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। একই সঙ্গে কোথায় এ ধরনের খাবার পাওয়া যায়, তার খোঁজও পাবেন। এর মাধ্যমে ভিন্ন সংস্কৃতির বিষয়ে অন্যদের জানানোর সুযোগ হবে।’
হাংরিফরহালাল অ্যাপসটি একটি ডাইন-ইন ও বাইরে খাওয়ার বিকল্প প্রস্তাব করে। ডাইন-ইন বিভাগে রেসিপি ও একটি অনুসন্ধান ফাংশন অফার করে, যেখানে শিরোনাম বা উপাদানের নাম লিখে ব্যবহারকারীরা রেসিপিগুলো খুঁজে পায়। এই অ্যাপের মাধ্যমে খাবারের ছবির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাবারের রেসিপির ভিডিও দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। বাইরে খাওয়ার বিভাগটি ব্যবহারকারীদের সামনে একটি ম্যাপিং ফাংশন হাজির করে, যার মাধ্যমে তারা সহজেই নিকটতম হালাল খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে পারে।
এই অ্যাপটি আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেছেন আফরোজা মোস্তফা, কাশফী ফাহিম, শারমিন জয়া, ক্রিস্টোফার অ্যামোদোভার ও রুমানা রুম্মা। কুইন্স কলেজের সভাপতি ফেলিক্স ভি ম্যাটস রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘বৈচিত্র্যের মাধ্যমে শেখার একটি অসাধারণ উদাহরণ হালাল খাবার অ্যাপস। শিক্ষার্থীরা দারুণ একটি কাজ করেছে।’
অ্যাপটির নির্মাতা দলের সদস্য আফরোজা মোস্তফা বলেন, ‘আমি অ্যাপটিতে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণার ছিল। এ কাজ থেকে আমি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এটা আমার সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করতে অনুভূতি দিয়েছে আমাকে। এর মাধ্যমে হালাল খাবার সম্পর্কিত আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরেছি।’