চিকিৎসক ও তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

গ্রান্ট উইলিয়াম (ডানে) ও সেরিসা লৌরা রাইলি। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া
গ্রান্ট উইলিয়াম (ডানে) ও সেরিসা লৌরা রাইলি। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক সার্জন ও তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে দুটি যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীর সংখ্যা কয়েক শ হতে পারে। চিকিৎসক গ্র্যান্ট উইলিয়াম রবিচেয়াওক্স (৩৮) ও তাঁর বান্ধবী সেরিসা লৌরা রিলের (৩১) বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে একটি বার ও রেস্তোরাঁয় দুজন নারীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।

আইনজীবীরা বলছেন, চিকিৎসক গ্র্যান্ট উইলিয়াম ও তাঁর বান্ধবী বিভিন্ন মিউজিক ফেস্টিভ্যালে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাঁদের মোবাইলে লাখো ভিডিও ক্লিপস পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা ভিডিও ক্লিপে থাকা নারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।

গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অরেঞ্জ কাউন্টি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি টনি রাকাউকাস বলেন, অভিযোগ ওঠা দুজন তাদের নিরীহদর্শন ভাব নিয়ে কাউকে লক্ষ্য করতেন এবং ভুয়া নিরাপত্তার আশ্বাস দিতেন। দেখতে সুন্দর হওয়ায় তাঁদের নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ হতো না।

ওই আইনজীবীর অভিযোগ, অর্থোপেডিক সার্জন গ্র্যান্ট উইলিয়াম একবার ‘অনলাইন ডেটিং রিচুয়ালস অব দ্য আমেরিকান মেল’ নামের রিয়েলিটি টিভি শোতে হাজির হয়েছিলেন। তাঁর কাছে পাওয়া ভিডিওতে একাধিক নারীকে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের তীব্র নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর ফলে তাঁদের সম্মতি বা অনুমতির তোয়াক্কা করা হয়নি। ফলে, শনাক্ত করা যায় না—এমন অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছেন তাঁরা।

তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, গ্র্যান্ট উইলিয়াম ও তাঁর বান্ধবী মিলে বারে গিয়ে কাউকে নজরে রাখতেন এবং তাঁকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়াতেন। পরে উইলিয়ামের অ্যাপার্টমেন্টে এনে যৌন নির্যাতন করতেন।

তাঁদের বিরুদ্ধে একজন ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ এ বছরের জানুয়ারিতে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধ ড্রাগ উদ্ধার করেছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে। নিউপোর্ট বিচ পুলিশ মামলার রিভিউয়ের জন্য অরেঞ্জ কাউন্টি ডিসস্ট্রিক অ্যাটর্নির কাছে দিয়েছে। গতকাল বুধবার ওই দুজনকে আটক করা হয়। উইলিয়ামের বিরুদ্ধে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

দুজনকে এক লাখ ডলার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের ৪০ ও ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।