মাইকেলের আঘাতে ফ্লোরিডার উপকূল লন্ডভন্ড

হারিকেন মাইকেলের তাণ্ডবে একটি নৌকা সমুদ্র তীর থেকে উড়ে এসে পড়ে। ছবি: রয়টার্স
হারিকেন মাইকেলের তাণ্ডবে একটি নৌকা সমুদ্র তীর থেকে উড়ে এসে পড়ে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চল হারিকেন মাইকেলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর–পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা। সেখানে যেদিকে চোখ যায়, শুধু ঝড়ের তাণ্ডবের চিহ্ন। বাড়িঘর ধসে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে গেছে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট বলেছেন, হারিকেন মাইকেল উপকূলীয় এলাকায় ‘অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়েছে।

আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ঝড়ের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে গভর্নর রিক স্কট বলেন, ‘এই ঝড়ের কারণে কত মানুষের জীবন যে সারা জীবনের জন্য পাল্টে গেছে! কত পরিবার যে সবকিছু হারিয়েছে!’

বুধবার হারিকেন মাইকেল ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। হারিকেনের আঘাতে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজন ফ্লোরিডার, একজন জর্জিয়া ও একজন নর্থ ক্যারোলাইনার।
ফ্লোরিডা, অ্যালাবামা, ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়াজুড়ে ৯ লাখ বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৬ হাজার মানুষ এখন অবস্থান করছে।

হারিকেন মাইকেলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড অবস্থা। ছবি: এএফপি
হারিকেন মাইকেলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড অবস্থা। ছবি: এএফপি

হারিকেনটি দুর্বল হয়ে এখন উত্তর–পূর্ব দিকে সরে গেছে।

ঝড়ের আগে ফ্লোরিডায় বসবাসকারী ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, অনেকেই এই সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করে থেকে গিয়েছিল।
গভর্নর স্কট জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড ১০টি দল নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জনকে উদ্ধার করেছে।
বায়ুপ্রবাহ মাপক সাফির-সিম্পসন স্কেলের পাঁচটি শ্রেণিবিভাগের মধ্যে হারিকেনটি চতুর্থ অবস্থানে ছিল। স্কেলের সর্বোচ্চ অবস্থান ছুঁইছুঁই করছিল ঝড়টি। এটিকে মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত আনা শক্তিশালী ঝড়গুলোর একটি বলা হচ্ছে।
ঝড়ের সঙ্গে ৯ ফুট উঁচু ঢেউয়ের ধাক্কায় বাড়িঘর ধসে পড়েছে।
পরে ঝড়টি মধ্য আমেরিকায় আঘাত হানার পর সেখানে ১৩ জন মারা গেছে। হন্ডুরাসে ৬, নিকারাগুয়ায় ৪ ও এল সালভাদরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।