পুজোয় হরেক স্বাদের খাবার

শিল্পী জলি কর
শিল্পী জলি কর
>

বাঙালির পুজো-পার্বণ উৎসবে হরেক স্বাদের বাহারি রান্না যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। নিউইয়র্কের বাঙালিরাও সেই ধারাকে আগলে রেখেছেন ভিনদেশের মাটিতে। নিউইয়র্কে বসবাসকারী বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী জলি কর দুর্গাপুজোর ভোগের অন্যতম পদ বাসন্তী পোলাও, লাবড়া, ছানার সন্দেশ ও নারকেলের নাড়ু রেসিপি দিয়েছেন উত্তরের নকশায়। 

নারকেলের নাড়ু
নারকেলের নাড়ু


নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: নারকেলকোরা ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, দুধ ৪ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা চামচ।
প্রণালি: পাত্রে দুধ নিয়ে আঁচে বসান। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। দুধ ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। একটি পাত্রে নারকেলকোরা ও চিনি দিয়ে একসঙ্গে মেখে নিন। আঁচে কড়াই বসিয়ে নারকেলের মিশ্রণটি দিন। কম আঁচে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ঘন করে রাখা দুধ দিন। কিছুক্ষণ ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ওপরে এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। নারকেল হালকা লালচে রং হওয়ার আগেই আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। গরম থাকতে থাকতে মিশ্রণটি হাতে অল্প করে নিয়ে নাড়ুর মতো করে গোল করে নিন।

বাসন্তী পোলাও
বাসন্তী পোলাও


বাসন্তী পোলাও
রান্নার উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল-১ কেজি, আদা বাটা-১ চা চামচ, কাজু বাদাম-৫০ গ্রাম, কিশমিশ-৫০ গ্রাম, কড়াইশুঁটি-পরিমাণ মতো, ঘি-২ টেবিল চামচ, তেজপাতা-১টি, এলাচ-২-৩টি, লবঙ্গ-৩-৪টি, দারুচিনি-১টি ছোট, জায়ফল,জয়িত্রি, এলাচ,দারুচিনি,লবঙ্গ। শুকনো কড়াইয়ে ভেজে গুঁড়ো করা ১ টেবিল চামচ, হলুদ রঙ-১ চিমটি, চিনি-২ টেবিল চামচ, লবণ-স্বাদ মতো, সাদা তেল-আন্দাজ মতো।
প্রণালি: চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। এবারে চালের মধ্যে আদা বাটা, হলুদ রঙ মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে ঘি ও সাদা তেল দিয়ে গরম মসলা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। চাল দিয়ে কড়াইশুঁটি, কাজু, কিশমিশ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে যে পরিমাণ চাল দিয়েছেন তার দ্বিগুণ জল দিয়ে লবণ, চিনি মিশিয়ে চাপা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। গলে না যায় বা তলা ধরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে আগুন থেকে নামিয়ে নিলেই তৈরি বসন্তি পোলাও।

লাবড়া
লাবড়া


লাবড়া
উপকরণ: বেগুন ২টি, মিষ্টি কুমড়ো অর্ধেক, পটল ৫-৬টি, আলু ৫টি, ফুলকপি, কাচা কলা ২টি, চিচিঙ্গা ৩টি। আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরাবাটা আধা চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬টি, তেল পরিমাণ মতো, শুকনা মরিচ ৩টি, তেজপাতা ৩টি, লবণ পরিমাণ মতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা চামচ।
প্রণালি: সবজিগুলো একটু বড় আকারে কেটে কড়াইতে তেল দিয়ে একটু গরম হয়ে এলে তাতে তেজপাতা, শুকনো মরিচ, পাঁচফোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে এক এক করে জিরে বাটা, আদা বাটা, হলুদ, শুকনো মরিচের গুঁড়ো আর লবণ দিয়ে একটু নেড়ে তাতে সবজিগুলো দিয়ে দিতে হবে। সবজি ভালোভাবে নাড়তে হবে যাতে মসলা ভালোভাবে মিশে যায়। এরপর সবজি হালকা সেদ্ধ ভাব হয়ে এলে তাতে দেড় কাপ জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ৭-৮ মিনিট পর সবজির জল শুকিয়ে এলে গরম মসলার গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, চিনি ও ঘি ছড়িয়ে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। একটু ঠান্ডা হয়ে এলে একটি পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু লাবড়া।

ছানার সন্দেশ
ছানার সন্দেশ


ছানার সন্দেশ
উপকরণ: ছানা (জল ঝরানো) ২৫০ গ্রাম, চিনি ১০০ গ্রাম, সাজানোর জন্য পেস্তা বাদাম (কুচানো)।
প্রণালি: পাত্রে একে একে ছানা ও চিনি নিয়ে একসঙ্গে খুব ভালো করে মেখে নিন। কড়াই আঁচে বসিয়ে ছানার মিশ্রণটি দিন। কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন। ছানা শুকনো হলে নামিয়ে নিন। মিশ্রণটি অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে গোল বলের আকারে গড়ে নিন। হাত দিয়ে সামান্য চাপ দিয়ে চ্যাপটা করে নিন। ওপরে পেস্তাকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।