যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অভিবাসনের পথ রুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামলে সেখানে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামলে সেখানে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইনে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সে দেশে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ ঘোষণা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের যেকোনো নির্দেশ ভঙ্গ করলে কাউকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।

আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, এবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার অভিযানে অভিবাসন বিষয়টি প্রধান ইস্যু ছিল।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসীরা নতুন আইন অনুসারে আশ্রয়ের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় মার্কিন নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া পাহারা। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় মার্কিন নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া পাহারা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আইন কর্মকর্তা ম্যাথিউ হুইটাকের ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান ক্রিস্টজেন নিয়েলসেন গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। এটাকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন চূড়ান্ত আইন’ বলা হচ্ছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব বিদেশির প্রবেশ রুদ্ধ করার ক্ষমতা আছে তাঁর। একই সঙ্গে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনে মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করা ব্যক্তিদের ওপর যেকোনো ধরনের বাধা আরোপের ক্ষমতা। বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘জাতীয় স্বার্থে’ প্রেসিডেন্ট অভিবাসন–প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারেন।

উত্তর মেক্সিকো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর একের পর এক ক্যারাভান যাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন এবং অভিবাসীপ্রত্যাশীরা ‘অনধিকার প্রবেশকারী’ বলে ঘোষণা দেন।

এই আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হন, তাহলে তাঁরা আশ্রয় চাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নতুন আইনটিতে খুব শিগগির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। এরপরই আইনটি নতুন সময় থেকে কার্যকর হবে।

সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীরা। ছবি: টুইটার
সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীরা। ছবি: টুইটার

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, সেখানে অভিবাসীরা নিজের দেশে সহিংসতার কারণে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভীত হলে তাঁদের আশ্রয় দাবির পক্ষে বক্তব্য শোনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীদের অবশ্যই ভয়াবহ উৎপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসার তথ্য থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এ ধরনের ব্যক্তিরা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। আশ্রয়প্রার্থীদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করলেও এখন পর্যন্ত তাঁদের দাবির পক্ষে শুনানি হওয়ার বিধান রয়েছে।