নিউইয়র্কে কবীর'স বেকারির প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর নেই

হুমায়ুন কবীর
হুমায়ুন কবীর

নিউইয়র্কে পরিচিত কবীর’স বেকারির প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর আর নেই। দীর্ঘ প্রায় ২২ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর৮ নভেম্বর মধ্যরাতে ব্রুকলিনের মেথোডিস্ট হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।

শুক্রবার বাদ জুমা ব্রুকলিনের একটি মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে নিউজার্সির মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

প্রচারবিমুখ কবীরের মৃত্যুর খবরে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচিতজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে তিনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে ব্রুকলিনের বাসার বাথরুমের মেঝেতে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে বাসার পাশের মেথোডিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যান। তিনি আর কখনোই চেতনা ফিরে পাননি। হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয় বলে জানা গেছে।

জার্মান বেকারির কাজে অভিজ্ঞ কবীর ১৯৮৩ সালে জার্মানি থেকে নিউইয়র্কে এসে ম্যানহাটনের একটি বেকারিতে চাকরি শুরু করেন। পরে নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে তিনি ব্রুকলিনে কবীর’স বেকারি প্রতিষ্ঠা করেন। খুবই অল্প সময়ে তিনি চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডি, জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কস ও লং আইল্যান্ডে সুসজ্জিত কবীর’স বেকারির বিক্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে সমগ্র নিউইয়র্কে বেকারি ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। মূলধারার একাধিক এয়ারলাইনস, বেকারি সামগ্রীর চেইন বিক্রেতারা নিয়মিত তাঁর মালিকানাধীন কবীর'স ও সানশাইন বেকারির সামগ্রী সর্বত্র সরবরাহ করত। স্বল্পভাষী, সদালাপী কবীর তাঁর বাংলাদেশের বাড়ি বরিশাল ও ঢাকায় বেশ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য পাঠাতেন।