মেলানিয়ার তোপে পদচ্যুত ট্রাম্পের নারী উপদেষ্টা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেজাজ খারাপ। একে তো মধ্যবর্তী নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছেন, তার ওপর হোয়াইট হাউসে কর্মকর্তাদের মধ্যেও তাঁর বিপক্ষে যাওয়ার মতো লোক রয়েছে। সব মিলিয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের রদবদল চাইছেন তিনি। এরই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি সরিয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও জাতীয় উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা মিরা রিকার্ডেলকে।

অবশ্য মিরা রিকার্ডেলকে চাকরিচ্যুত করতে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। এরপর গতকাল বুধবার মিরাকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘মিরা আর হোয়াইট হাউসে সেবা দেওয়ার মতো সম্মানের যোগ্য নন।’

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিরার ওপর খেপেছিলেন মেলানিয়া। তাঁর অভিযোগ, আফ্রিকা সফরের সময় সহযোগিতামূলক আচরণ করেননি মিরা রিকার্ডেল। সরকারি সহযোগিতার বিষয় যখনই এসেছে, মিরা সেগুলোয় কাটছাঁট করার চেষ্টা করেছেন। এটি মোটেও পছন্দ করেননি ফার্স্ট লেডি। এ ছাড়া মেলানিয়াকে নিয়ে নেতিবাচক খবরের জন্যও দায়ী করা হয় মিরাকে। সফর থেকে ফিরে মিরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ট্রাম্পকে চাপ দেন মেলানিয়া।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কার্যালয় অভূতপূর্ব এক বিবৃতি দিয়ে জাতীয় উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা মিরার পদত্যাগ চেয়েছিলেন। সাধারণত দাপ্তরিক বিষয়ে ফার্স্ট লেডিরা প্রেসিডেন্টদের ওপর চাপ দিয়ে থাকেন। তবে সেসব বিষয়ে তাঁরা কোনো বিবৃতি দেন না। মেলানিয়া ট্রাম্প সেই রীতি ভাঙলেন। ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ফার্স্ট লেডির কার্যালয় মনে করে, হোয়াইট হাউসে কাজ করার যোগ্যতা মিরা রিকার্ডেল রাখেন না। এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট। মিরাকে কেন বরখাস্ত করা উচিত, এর কোনো ব্যাখ্যা এই মুখপাত্র দেননি। তবে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর সঙ্গে গত অক্টোবরে মেলানিয়া ট্রাম্পের আফ্রিকা সফরের সংশ্লিষ্টতা আছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, হোয়াইট হাউস ছেড়ে প্রশাসনের নতুন দায়িত্বে যাবেন রিকার্ডেল।

এর বাইরে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের আবার ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দ্য ডেইলি কলার নামের একটি অনলাইন সাইট। সবচেয়ে বড় রদবদল ঘটতে পারে চিফ অব স্টাফ পদে। জন কেলিকে ওই পদ ছাড়তে হতে পারে।

কেলির ওপরও খাপ্পা মেলানিয়া। কারণ, মেলানিয়ার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের পক্ষে প্রচার করতে অস্বীকৃতি জানান কেলি। কেলির জায়গায় আসতে পারেন নিক আয়ারস (৩৬) নামের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।