নিরাপদ যৌনতা শেখানো হয় যেখানে

মুঠোফোনে অন্তরঙ্গ ছবি হ্যাক করে হ্যাকাররা। ছবি: এএফপি
মুঠোফোনে অন্তরঙ্গ ছবি হ্যাক করে হ্যাকাররা। ছবি: এএফপি

মেরিত্রিনি আগুইলার মেক্সিকান নারী। বিবাহিত, দুই সন্তানের মা। সাতজন নারীর সঙ্গে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁদের কাজ নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিয়ে তথ্য দেওয়া। যৌনতা নিয়ে প্রচলিত ট্যাবু বা লোকাচারে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা ভেঙে দেওয়া।

এএফপির খবরে জানানো হয়, আগুইলার ও তাঁর সঙ্গীরা নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিয়ে কর্মশালা করেন মেক্সিকো সিটিতে। মোবাইল ফোনে সেলফি ও ছবির মাধ্যমে প্রচার চালান। দেশটির সরকার তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে নারী অধিকার বিষয়ক দল লুচাদোরাস। যৌনতার স্বাধীনতা নিয়ে প্রচার চালান তাঁরা। একই সঙ্গে এর ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন করেন।

আগুইলার বলেন, অনেকে মনে করেন যৌন আচরণ কেবলমাত্র তরুণদের জন্য। কিন্তু সব বয়সেই যৌনতা স্বাভাবিক একটি প্রবৃত্তি।

আগুইলার বলেন, বিশ্বে যৌনতা ও প্রযুক্তি বিপজ্জনকভাবে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। অনেক সময় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুরুষ সঙ্গীরা অন্তরঙ্গ ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। হ্যাকাররাও অনেক সময় ব্যক্তিগত মুঠোফোন থেকে অন্তরঙ্গ ছবি চুরি করে অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানের মতো দেশগুলোর সরকার এসব রোধে আইন জারি করেছে। ২০১৪ সালে হ্যাকাররা বেশ কয়েকজন তারকার ছবি ফাঁস করে দেয়। এর মধ্যে অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স, সংগীতশিল্পী রিহানা, মডেল কেটও ছিলেন।

নিরাপদ যৌনতার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় কর্মশালায়। ছবি: এএফপি
নিরাপদ যৌনতার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় কর্মশালায়। ছবি: এএফপি

লুচাদোরাসের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা লুলু ব্যারেরা বলেন, এ ধরনের আচরণ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর আঘাত। সারা বিশ্বে পর্ণো ও সাইবার অপরাধ বাড়ছে। এ কারণে নারীদের সতর্ক থাকতে হবে।

লুচাদোরাসের উদ্যোগে নিজেদের যৌন অভিজ্ঞতার কথা বিনিময় করতে পারেন নারীরা। এ নিয়ে প্রচলিত ট্যাবু নারীরা ভেঙে দিতে চান। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী গিসেলা রুবিও ১৭ বছর বয়স যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর। এতে গর্ভধারণ বা রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয় নেই।

মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রুবিওর বয়স এখন ২২ বছর। তিনি হাইস্কুলে পড়ুয়াদের যৌন আচরণ নিয়ে থিসিস করছেন। তিনি বলেন, শুরুর দিকে অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকেই যৌন সম্পর্কে বিপদে থাকেন। তাঁদের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে শেখানো হয়। এ ধরনের বিপদ থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়।